ফাইল চিত্র।
শীঘ্রই উৎসব আয়োজনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। তবে, তা দোলের দিন আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশ্বভারতীর বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আজ, মঙ্গলবারও আয়োজিত হতে পারে সেই অনুষ্ঠান। গৌরপ্রাঙ্গণে মঞ্চ তৈরির কাজও প্রায় শেষ। তবে, অন্যান্য বছরের মতো সাধারণ দর্শকের উপস্থিতিতে নয়, বরং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত অতিথিদের উপস্থিতিতেই বসন্ত উৎসব পালিত হবে।
এমনকি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ছাড়া অন্য পড়ুয়ারাও এই উৎসবে শামিল হতে পারবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। সঙ্গীতভবনে বসন্ত উৎসবের মহড়াও চলছে জোরকদমে। তবে, ঠিক কবে, কখন এবং কোথায় এই উৎসব পালিত হবে, সেই বিষয়ে মুখ খুলছেন না কেউই। ২০২০ সালে যখন গোটা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে বসন্ত উৎসবের অন্তিম মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছিল, তখনই করোনা অতিমারির আতঙ্কে স্থগিত করে দেওয়া হয় উৎসবের উদ্যাপন। এ বছর অতিমারি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও লাখো লোকের উপস্থিতিতে বসন্ত উৎসব আয়োজনের মতো অবস্থা এখনও নেই। ফলে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, এ বছরও বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব আয়োজন করবে না।
যদিও বিশ্বভারতীর নানা সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, একপ্রকার রুদ্ধদ্বার অনুষ্ঠানের মতো করেই বসন্ত উৎসব পালন করবেন কর্তৃপক্ষ। আয়োজিত হবে। বর্তমান পড়ুয়া ও কর্মী-অধ্যাপকদের একাংশকে বাদ দিয়েই নির্বাচিত কিছু লোকের উপস্থিতিতে আয়োজিত হবে বসন্ত উৎসব। সোমবার সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সঙ্গীতভবনে মহড়া চলেছে। জানা যাচ্ছে, বসন্ত উৎসব হবে গৌরপ্রাঙ্গণে। তবে, অনুষ্ঠানের বিষয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অতিমারি পরিস্থিতিতে সাধারণ দর্শকদের বাদ দিয়ে বসন্ত উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীদের একাংশ অনষ্ঠান ঘিরে এই ‘লুকোছাপা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিশেষ করে মঙ্গলবার প্রায় সমস্ত বিভাগেরই অনলাইন ক্লাস রয়েছে। এক অধ্যাপক বলেন, “অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বল্প সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত ভাল, কিন্তু অহেতুক সকলকে অন্ধকারে রাখার কোনও কারণ থাকতে পারে না। বিশ্বভারতী পরিবারের সদস্য হিসাবে এটুকু জানার অধিকার আমাদের থাকা উচিত।’’ তবে, এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy