কলকাতার কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হল পরিবার। শনিবার সকালে এমএলএ হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেনের দেহরক্ষী জয়দেব গড়াইয়ের দেহ। বছর ৩৪-এর জয়দেবের মৃত্যুতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার বাঁশি গ্রামের বাসিন্দা তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট থেকেই পুলিশের চাকরি করার ইচ্ছা ছিল জয়দেবের। ২০১২ সালে তিনি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেনের দেহরক্ষী পদে কর্মরত ছিলেন। শনিবার সকালে পরিবারের লোকেরা ফোনে জয়দেবের মৃত্যুর খবর পান।
আরও পড়ুন:
মৃত জয়দেবের বোন ঋতু গড়াই বলেন, ‘‘দাদা বিধায়কের সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলেন। শনিবার ফোনে আমাদের জানানো হয়, দাদা এমএলএ হস্টেলের পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা গিয়েছেন। দাদা এ ভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন না। আমরা আসল কারণ জানতে চাই। তাই চাই, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’’ মৃতের কাকিমা রীতা গড়াই বলেন, ‘‘জয়দেব আত্মহত্যা করেছে, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।’’ পরিবারের পাশাপাশি জয়দেবের বন্ধুরাও তদন্তের দাবিতে সরব। মৃতের বাল্যবন্ধু সঞ্জয় বলেন, ‘‘জয়দেব হয়তো কারও কোনও গোপন তথ্য জেনে ফেলেছিল। সেই কারণে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।’’