রূপচাঁদ হাঁসদা।
সাঁওতালি ভাষায় কাব্যগ্রন্থ অনুবাদের জন্য কবি রূপচাঁদ হাঁসদা এ বারের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। সাহিত্য অকাদেমির সচিব শ্রীনিবাসারাও রূপচাঁদবাবুকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আজ, শুক্রবার আগরতলায় তাঁর হাতে তাম্র ফলক ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ কাব্যগ্রন্থটি সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করায় এই সম্মান।
বান্দোয়ানের বাসিন্দা রূপচাঁদবাবু কর্মসূত্রে বর্তমানে খড়্গপুরে রেল আবাসনে থাকেন। কিডনির অসুখে ভুগছেন বেশ কয়েক বছর। নিয়মিত তাঁকে ডায়ালিসিসও করাতে হয়। রূপচাঁদবাবু বলেন, ‘‘বিভিন্ন প্রদেশের সাহিত্য অনুবাদ করে সাঁওতালি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে চেয়েছি। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ওই বিখ্যাত কাব্য গ্রন্থ পড়ার পরেই মনে হয়েছিল, এটি সাঁওতালি ভাষাভাষিদের জন্য অনুবাদ করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। কয়েক বছর আগেই অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাঝখানে স্থগিত রাখতে হয়েছিল। পরে অসমাপ্ত কাজ শেষ করি।’’ অনুবাদ গ্রন্থটি অলচিকি হরফে লেখা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন রূপচাঁদবাবু নিজেই। প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালে।
তাঁর দাদা মহাদেব হাঁসদা সাঁওতালি বুদ্ধিজীবি মহলে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি জানান, ভাইয়ের পড়াশোনা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চিরুডি বিবেকানন্দ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পড়ে ঝাড়গ্রামের কাপগাড়ি কলেজ থেকে স্নাতক হন। পরে দক্ষিণ রেলে তিনি চাকরি পান। তবে তাঁর লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকে। বাংলা সাহিত্য তো বটেই, কন্নড় ভাষার কয়েক হাজার প্রবচনও তিনি সাঁওতালিতে অনুবাদ করেছেন। রূপচাঁদবাবু ‘অল ইন্ডিয়া সাঁওতালি রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। টানা ২৭ বছর ধরে ওই পদ সামলেছেন। বছর চারেক আগে থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় দায়িত্ব থেকে সরে আসেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy