চলছে রাজেশের পরিবারের সকলের প্রাথমিক চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র
নিহত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের মা-বাবার ইচ্ছেতেই আজ, রাজেশের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রায় পাঁচশো জন। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন রাজেশের গ্রাম, মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ার বাসিন্দারা, তেমনই উপস্থিত থাকতে পারেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এমনকি শাসকদলের জেলার দলীয় নেতৃত্বরা। রাজেশের দাদা দেবাশিস ওরাং জানান, রাজেশের মা মমতাদেবী ও বাবা সুভাষবাবুর কথাতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে পাশে রয়েছে প্রশাসনও।
দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘ওঁরা চান, যে সমস্ত মানুষ প্রথম থেকে রাজেশের শেষকৃত্য হওয়া পর্যন্ত পাশে থেকেছেন তাঁদের জন্য একটু খাবারের আয়োজন করার। সমস্ত আয়োজন করতে আমাদের সঙ্গে সাহায্য করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। তাই সকলকে সঙ্গে নিয়েই আয়োজন করা হয়েছে।’’ রবিবার দিনভরই চলে তারই আয়োজন। রবিবার সকাল থেকেই বাড়িতে আসেন আত্মীয়রা। দুপুরে পরিবারের নিয়ম মেনেই পালন করা হয় ক্ষৌরকর্মের কাজ। দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘গ্রামের প্রায় ১২০ জন বাসিন্দা, আত্মীয় স্বজন, প্রশাসনিক কর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক, বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সকলেই প্রথম থেকেই খুব সহযোগিতা করে এসেছেন এবং আমরা জানি আগামী দিনেও সকলেই পাশে থাকবেন।’’ এ দিন এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা।
তৃণমূলের ব্লক কার্যকারী সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বীর সেনা জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। আগামী দিনেও থাকবো। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সাহায্য করা হয়েছে। আমরাও ধন্য দেশমাতার এমন বীর সন্তানের পরিজনের পাশে থাকতে পেরে।’’ বিধায়ক নীলাবতী সাহার উদ্যোগে এ দিন এই আয়োজনের জন্য ২ কুইন্টাল চাল, ৪ টিন তেল, ৪ বস্তা আলু ও ১ বস্তা ডাল দেওয়া হয়। বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার কথা বলেছি। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারকে কী বলে সান্ত্বনা দেব তা আমার জানা নেই। তাই কিছু সাহায্য করে বীর জওয়ান রাজেশ ওরাংকে শ্রদ্ধা জানালাম।’’
এ দিন বিকেলে বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ির নির্দেশে রাজেশের বাড়িতে পৌঁছয় মহম্মদবাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাঁচজনের একটি দল। এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ সুরাইয়া খাতুন নিজে উপস্থিত থেকে রাজেশের পরিবারের সকলের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। এ ছাড়াও থার্মাল স্ক্যানিং করা হয় উপস্থিত সকলের। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলের প্রয়োজন মতো ওষুধ ও ওআরএস দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ফোন নম্বরও দেওয়া হয় পরিবারকে। জানানো হয়, যদি কারও কোনও সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানানোর জন্য। ফোন পাওয়া মাত্র স্বাস্থ্য দফতর থেকে ডাক্তাররা এসে চিকিৎসা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy