Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
nalhati

নিহত তরুণীর পরিচয় চেনাল লাল আংটি

দেহটি বিকৃত অবস্থায় ছিল। শুধু হাতের অনামিকায় থাকা একটা লাল আংটিতে লেখা ছিল এস কে গোল্ড

নিহত ইনিয়ারা খাতুন। নিজস্ব চিত্র

নিহত ইনিয়ারা খাতুন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর,   নলহাটি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪৩
Share: Save:

রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পচা-গলা দেহ দেখে কার তা চেনার উপায় ছিল না। কিন্তু বাঁ হাতের অনামিকায় থাকা লাল আংটিই কিনারা করল নিখোঁজ তরুণী খুনের। পুলিশ ওই তরুণীর স্বামীকে খুনের অভিযোগে আটক করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর নলহাটি থেকে বাণীওড় যাওয়ার রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে পচে-গলে বিকৃত হয়ে যাওয়া একটি দেহ উদ্ধার হয়। মুখ দেখে চেনার কোনও উপায় ছিল না দেহটি কার। অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ হিসেবেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এদিকে তার পাঁচ দিন আগে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি হয় স্থানীয় কাশিয়াডাঙা গ্রামের ইনিয়ারা খাতুনের নামে (২২)। ইনিয়ারা রঘুনাথগঞ্জ গাড়ি ঘাট এলাকায় একটি নার্সিংহোমে নার্সের চাকরি করতেন। ওই নার্সিংহোমের মালিকের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর দেড়েক আগে তাঁরা বিয়ে করেন। ওই ব্যক্তির প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকায় এই বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তিও চলছিল বলে আত্মীয় পরিজনেরা জানান। সম্প্রতি রঘুনাথগঞ্জের ফুলতলায় একটি ভাড়া বাড়িতে ইনিয়ারা ও তাঁর স্বামী থাকতেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ১৬ তারিখই ওই তরুণীকে খুন করে নলহাটিতে রাস্তার ধারে ফেলে আসা হয়েছিল। ওই রাতেই রঘুনাথগঞ্জ থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয় ইনিয়ারার পরিবারের পক্ষ থেকে। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় অপহরণের মামলা হয় ও বিভিন্ন থানায় ওই নার্সের ছবি ও চেহারার বর্ণনা পাঠানো হয়।

নলহাটি থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দেহটি এতটাই বিকৃত অবস্থায় ছিল যে কোনও ভাবেই বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু হাতে থাকা একটা লাল আংটিতে লেখা ছিল এস কে গোল্ড। সেই ছবি আমরা রঘুনাথগঞ্জ থানা সহ অন্য কয়েকটি থানায় পাঠিয়েছিলাম।’’ রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই মৃতদেহের ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য নলহাটি থানা থেকে আমরা জানতে পারি। প্রাথমিক ভাবে ছবি দেখে দেহটি চেনার উপায় ছিল না। কিন্তু এস কে গোল্ড লেখা অনামিকায় থাকা লাল আংটি ছবিতে দেখেই চিনতে পারেন ইনিয়ারার পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার নলহাটি থানা ও মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন তাঁরা।’’ এরপরেই তাঁর স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে তদন্তকারীরা জানান।

ইনিয়ারার বাবা আনারুল হক বলেন, ‘‘মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে জামাই ও তাঁর কয়েক জন বন্ধু। এই ভাবে কেউ খুন করতে পারে ভাবতেও পারছি না। দোষীদের শাস্তি চাই।’’ খুনের আসল কারণ কী এবং এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেওপুলিশ জানায়।

অন্য বিষয়গুলি:

nalhati Jangipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy