সাদীনপুর স্টেশনে চলছে অবরোধ। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
রোজ ট্রেন দেরিতে চলাচল করার ফলে তাঁরা চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন—এই অভিযোগে সাদীনপুর স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। পরে কর্তব্যরত স্টেশন ম্যানেজার রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচল করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
রেল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ ৫৩০৬৩ আপ বর্ধমান-তিনপাহাড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি সাদীনপুর স্টেশনে পৌঁছলে নিত্যযাত্রীরা ট্রেন থেকে রেললাইনে নেমে এসে ঠিক সময়ে ট্রেন চলাচলের দাবিতে অবরোধ শুরু করেন। আপ লাইনে রেল অবরোধ চলার সময় ডাউনে বালুরঘাট-কলকাতাগামী তেভাগা এক্সপ্রেসকেও আন্দোলনকারীরা আটকান। প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে আপ ও ডাউন দুই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, আপ বর্ধমান-তিনপাহাড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির রামপুরহাট স্টেশনে সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে পৌঁছানোর সময়। বেশ কয়েক দিন ধরেই ট্রেনটি ৩৫-৪০ মিনিট দেরিতে রামপুরহাট স্টেশনে ঢুকছে। এর ফলে নলহাটি, মুরারই, পাইকর থানা এলাকার বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মী,
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক, মুরারই ও নলহাটির বিভিন্ন কলেজের কর্মী থেকে স্কুলপড়ুয়ারা ওই ট্রেনটিতে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। কাজের জায়গায় অনেককে কথা শুনতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে কাজের সময়ও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের ক্ষোভ, আপ বর্ধমান-তিনপাহাড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি বর্ধমান থেকে তারাপীঠ স্টেশন পর্যন্ত ঠিক সময়ে পৌঁছয়। রামপুরহাট স্টেশনে ঢোকার আগে মালগাড়ি ছাড়ার জন্য প্রায় দিনই তারাপীঠ স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ওই ট্রেনটিকে। ফলে রামপুরহাট স্টেশনে দেরিতে পৌঁছয়।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার পুষ্কর কুমার বলেন, ‘‘প্রতিদিন দেরি হয় না। এক এক দিন দেরী কী কারণে হয়, সেটা কন্ট্রোল অফিস বলতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy