সন্ধান: রামপুরহাটে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বোঝাই বস্তার পাহাড়।—নিজস্ব চিত্র
মল্লারপুর, লাভপুরে বিস্ফোরণে কেঁপেছে জেলা। ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঠিক এমনই সময় রামপুরহাট থানার বড়জোল, রদিপুর এলাকা থেকে প্রচুর বিস্ফোরকের হদিস মিলল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড সীমানাঘেঁষা বীরভূমের ওই দু’টি গ্রামে মেলে বিস্ফোরক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলেছে ২৪৮ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ৪২ হাজার ডিটোনেটর। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ওই সব বিস্ফোরক কী কারণে, কারা মজুত করেছিল তা জানতে তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরকগুলি যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে মল্লারপুরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। ঝাড়খণ্ড সীমানা ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোল ও রদিপুর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় পাঁচটি জায়গা থেকে মিলেছে ওই বিস্ফোরক। সব থেকে বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে একটি কালভার্টের নীচে। বাকি বিস্ফোরক লুকোনো ছিল রদিপুর গ্রাম সংলগ্ন ক্যানালের তিনটি জায়গা এবং মাঠে।
পুলিশ জানায়, রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি, বারমেসিয়া, শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকাগুলি ওই দু’টি গ্রামের কাছেই অবস্থিত। তেমনই ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানা এলাকার চিত্রাগড়িয়া, বেনাগড়িয়া, পিনারগড়িয়া, সারাসডাঙা পাথর শিল্পাঞ্চলও রয়েছে কাছাকাছি। সাধারণ ভাবে ওই সব বিস্ফোরক পাথর খাদান এলাকায় ব্যবহার করা হয়। তবে নাশকতামূলক কাজেও সে সব ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কী কারণে ওই বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের ৮ সদস্য সেখানে তদন্তে যান। তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন ঘন্টাদুয়েক। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই বিস্ফোরকের সঙ্গে মল্লারপুরে বিস্ফোরণের যোগ নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকা দিয়ে টহল দেওয়ার সময়, রদিপুর ও বড়জোল গ্রামের মাঝামাঝি একটি কালভার্টের কাছে এক সাইকেল আরোহীকে সাইকেল ফেলে মাঠের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। কালভার্টের নীচে কয়েকটি কাগজের বাক্স দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। সেখানে মেলে ডিটোনেটর। পরে রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ওই এলাকার পাঁচটি জায়গা থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। রদিপুর সংলগ্ন ক্যানালের পাশে মেলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বস্তা।
পুলিশের একাংশের দাবি, জেলা জুড়ে পুলিশি অভিযান চলছে। বিস্ফোরকগুলি ‘নিরাপদে’ রাখতেই ফাঁকা মাঠে রেখে যাওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy