পুরুলিয়ায় কৃষি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। বুধবার। ছবি: সুজিত মাহাতো।
বাংলার কৃষি-শিক্ষার মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে বুধবার পুরুলিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ এগ্রিকালচার কলেজের। এ দিন পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের উল্টো দিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড়ের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ ও ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ডিরেক্টর জেনারেল তথা দেশের কৃষি-শিক্ষা ও গবেষণা দফতরের সচিব হিমাংশু পাঠক প্রমুখ। পুরুলিয়া জেলার শিক্ষার মুকুটে নতুন পালক জুড়তে পেরে ভূমিপুত্র হিসেবে খুশি ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ডিরেক্টর জেনারেল। তাঁর কথায়, “এই দিনটি আমার জীবনেও বিশেষ। রামকৃষ্ণ মিশন গোটা পৃথিবী জুড়ে সেবার আদর্শে পরিচিত। সেই প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানেই এই রাজ্যে একটি কৃষি কলেজ গড়ে উঠতে চলেছে বলে আমি আনন্দিত।”
কৃষি বাদ দিয়ে দেশের উন্নতি কখনই সম্ভব নয়, এ কথা জানিয়ে আইসিএআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “আমরা ভারতকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নয়, বিকশিত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করেছি। ১৯৬০-৭০ সালে খাদ্যের জন্য আমরা অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। লালবাহাদুর শাস্ত্রী সে সময় দেশবাসীকে সপ্তাহে একবেলা উপোস থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ দিকে করোনাকালে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশকে আমরা চাল-গম দান করেছি। এটাই আমাদের সাফল্য।” রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ এগ্রিকালচার কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের পথ প্রশস্ত করবে বলেই প্রত্যয়ী তিনি।
এ নিয়ে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রদানন্দ বলেন, “বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার ৬৬ বছরে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হল এ দিন। পুরুলিয়ার দরিদ্র মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এই কলেজ নিবেদিত হবে। বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠা লগ্নে স্বামী হিরণ্ময়ানন্দ বলেছিলেন, এই বিদ্যাপীঠ একদিন মহীরূহ হয়ে উঠবে। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।” রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ এ দিন বলেন, “একটি কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করছে, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।”
বিদ্যাপীঠ পরিচালন সমিতির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবে পড়ুয়ারা। তবে পুরুলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে। এ দিন ভিত্তিপ্রস্তরের অনুষ্ঠানে শামিল হন আইসিএআর-এর ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কলকাতা শাখার দায়িত্বে থাকা প্রদীপ দে, সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সুবলচন্দ্র দে প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy