পাহাড়পুরে ‘চা-অবকাশ’ প্রকল্প। নিজস্ব চিত্র
পর্যটনের ঢাকে কাঠি পড়তেই পাহাড়পুরের ‘চা-অবকাশ’ ঘিরে একাধিক প্রকল্প হাতে নিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে কাশীপুরের পাহাড়পুর ডুংরিকে ঘিরে পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে চাষের কাজে স্থানীয় মানুষজনকে যুক্ত করা হয়েছে। জোড়া ডুংরির গা বেয়ে বয়ে চলা বৃষ্টির জল ধরে রাখা হয়েছে পাহাড়তলির জলাশয়ে। ওই প্রকল্পে গড়ে ওঠা মনোরম এই জায়গাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে একগুচ্ছ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে প্রশাসন।
কাশীপুরের বিডিও সুপ্রিম দাস জানান, ইতিমধ্যে একেবারে জলাশয়ের ধারে পর্যটকদের চা-ভাজাভুজি খাবারের ব্যবস্থায় ‘চা-অবকাশ’ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া, রাস্তা, শৌচালয় তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটিকে ‘পেভার ব্লক’ (নকশা করা ইটের রাস্তা) দিয়ে মোড়া হচ্ছে। পাশেই খেলাধুলোর জন্য একটি মাটির স্টেডিয়ামও তৈরি করা হবে।
পাহাড়পুরে প্রকল্পস্থলে রবিবার পাহাড়পুর-মুড়লু কাঁচা রাস্তাটি কংক্রিটের করা, এই রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণ, শৌচালয় গড়া-সহ নানা কাজের সূচনা করা হয়। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কাজের সূচনা করেন স্থানীয় বড়রা পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত্রা মুর্মু। তিনি এই প্রকল্পের অন্যতম উপভোক্তাও। সুমিত্রা বলেন, ‘‘এই প্রকল্পটির অবস্থান মূল রাস্তার পাশে হওয়ায় অনেক লোকজন বেড়াতে আসছেন। এখানে কোনও খাবারের দোকান ছিল না। শৌচাগার, জলাশয়ের ধারে বসার কোনও
ব্যবস্থা ছিল না। বেড়াতে এসে মানুষজন এই সমস্যাগুলি আমাদের নজরে আনেন। আমরাও একই সমস্যা উপলব্ধি করেছি।’’ তিনি জানান, খাবারের দোকান ইতিমধ্যে হয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে জেলাশাসক যখন এখানে এসেছিলেন, তাঁর কাছে শৌচালয়, বসার ব্যবস্থা ও রাস্তা তৈরির অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি সেই কাজগুলি অনুমোদন করেছেন। প্রকল্পের উপভোক্তারা জানান, জেলাশাসকের কাজগুলির সূচনা করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি প্রধানকেই তা করতে বলেন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘ন্যূনতম কিছু পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রকল্পের উপভোক্তারা আমাদের বলেছিলেন। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy