Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘সরকারি সুবিধা নিয়ে সরকারবিরোধী মনোভাব কম রাখবেন’, সভাধিপতির মন্তব্যে বিতর্ক

সুজয়বাবুর মন্তব্য সম্পর্কে বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এই ধরনের কথা বলা কাম্য নয়।’’

কংসাবতীতে মাছ ছাড়ছেন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

কংসাবতীতে মাছ ছাড়ছেন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোরো শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১১
Share: Save:

সরকারি অনুষ্ঠানে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার কংসাবতী জলাধারে মাছ ছাড়ার একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সুজয়বাবু। তিনি জেলা তৃণমূলের বরিষ্ঠ সহ সভাপতি। ওই অনুষ্ঠানে মৎস্যজীবীদের আর্থিক উন্নতিতে সমবায় গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। এর পরেই হঠাৎ সুজয়বাবু বলে বসেন, ‘‘সরকারের সুবিধা নিয়ে সরকার-বিরোধী চিন্তাভাবনা কম রাখবেন।’’ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জেলায়।

সুজয়বাবুর মন্তব্য সম্পর্কে বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওঁর এই মন্তব্যই প্রমাণ করে সরকার আর দল মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। কোনও দল যখন নির্বাচনে যায়, তখন সে রাজনীতির কথা বলে। কিন্তু সরকারে এসে গেলে সেই কথা বলা যায় না। কারণ সরকার সকলের।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এই ধরনের কথা বলা কাম্য নয়।’’

বিজেপিকে পাল্টা বিঁধেছেন সুজয়বাবু। বিদ্যাসাগরবাবুর উদ্দেশে তাঁর তীর্যক মন্তব্য, ‘‘ওঁর মুখ থেকে এই সব কথা শুনব না। সরকার আর দলকে এক করেছে তো বিজেপি-ই। তাই এ সব কথা বিজেপি নেতাদের মুখে মানায় না।’’

এ দিন তিনি ভুল কিছু বলেননি বলে দাবি করেন সুজয়বাবু। তাঁর মতে, ‘‘সরকার পাশে থাকবে, সব দাবি মেটাবে, কিন্তু সেই সরকারেরই বিরোধিতা কবর, এটা হতে পারে না।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা কেউ করতেই পারেন। কিন্তু সরকার যখন ভাল কাজ করবে, তখন সরকারের সমালোচনা কেন হবে।’’

এ দিনের অনুষ্ঠানে সুজয়বাবু জানান, বাজেটে টান পড়ায় এ বার জলাধারে মাছের চারা কম ছাড়া হচ্ছে। এ দিন জেলা মৎস দফতরের উদ্যোগে এবং মানবাজার ২ ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় কংসাবতী জলাধারে মাছের চারা ছাড়া হয়। এলাকার মাছচাষিদের আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ জেলা পরিষদের। কংসাবতী জলাধার সংলগ্ন এলাকায় ওই অনুষ্ঠানে সুজয়বাবু ছাড়াও হাজির ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু।

এ দিন জলাধারে প্রায় ৮০ হাজার চারা মাছ ছাড়া হয়। সুজয়বাবু বলেন, জলাধারে মাছ কমছে। আষাড় মাসে ডিম পোনা তৈরি হয়। অনেক সময় বড় মাছ সেই ডিম পোনা খেয়ে নেয়। তার ফলে জলাশয়ের মাছ কমে যায়।

মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সুজয়বাবুর পরামর্শ, ‘‘মৎস্য সমবায় তৈরি করুন। তা হলে নৌকা, জাল-সহ অন্য সামগ্রীও দেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Purulia Kangsabati River Fish TMC Controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy