জমল ভিড়। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আবহেও অযোধ্যা পাহাড়তলিতে গ্রাম-দেবতার পুজোয় মানুষজনের উৎসাহের কোনও খামতি চোখে পড়ল না। ঝালদার গোপালপুর গ্রামের অদূরেই নরহারা এলাকার পুজো। অযোধ্যা পাহাড়তলির অরণ্যের মাঝে চোখজুড়ানো জলাধারের অদূরেই পাহাড়ি গুহায় রয়েছে শিলামূর্তি। সেখানেই প্রতি বছর পুজোয় মানুষের ঢল নামে। অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও শুক্রবার সে পুজোয় ভিড় ভালই হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সব কিছু হয়েছে। তবে এ দিন কিছু লোকজনকে ‘মাস্ক’ ছাড়া সেখানে দেখা গিয়েছে।
উল্টোরথের পরের ত্রয়োদশী তিথিতে এই পুজো হয়। উদ্যোক্তারা জানান, প্রথা মেনে এখনও এই উৎসবে শুধু পুরুষেরাই যোগ দেন।
ঝালদা রথ কমিটির মুখপাত্র শ্যামল কর্মকার বলেন, ‘‘এক সময়ে বাবার হাত ধরে পুজো দেখতে যেতাম। পুজোর পরে ভোজের আয়োজন থাকত। বয়স হয়েছে। এখন প্রতি বছর যাওয়া আর হয়ে ওঠে না। তবে মনটা ছটফট করে।’’ এ বছরও পুজোর পরে বনভোজন হয়েছে। মেনুতে ছিল খিচুড়ি,পাঁঠার মাংস, চাটনি আর মিষ্টি। পুজো দিয়ে বেরিয়ে ঝালদার পুরপ্রশাসক তথা বিদায়ী পুরপ্রধান বলেন, ‘‘প্রতিবার আসি। এ বারেও এলাম। পুজো ঘিরে এ এক প্রকার অকাল-বনভোজন। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। ভাল লাগে।’’
চার দিকে শাল-পলাশের জঙ্গল। সামনেই গভীর জলাধার। দূর থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে থাকে। উৎসবের সঙ্গে বাড়তি পাওনা সে সব। এ দিন ঝালদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস মণ্ডল গিয়েছিলেন পুজো দেখতে। তিনি বলেন, ‘‘এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব নজরকাড়া। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। তাই শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও সময় করে চলে এসেছি।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘ভিড় থাকলেও অধিকাংশ লোকজন ‘মাস্ক’ পরে সামাজিক দূরত্ব সব কিছু মেনে চলার চেষ্টা করছেন। এটা দেখে ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy