ডিভিসির রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জনশুনানি। —নিজস্ব চিত্র।
ডিভিসি-র রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া এক ধাপ এগোল। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার আগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুরে পরিবেশ সংক্রান্ত জনশুনানির আয়োজন করল। সেখানে বর্তমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ছাই থেকে এলাকায় দৃষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়দের একাংশ। এ ছাড়া কর্মসংস্থানেরও দাবি তোলেন অনেকে। ডিভিসির রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরটিপিএস) প্রকল্প অধিকর্তা চৈতন্য প্রকাশের আশ্বাস, দূষণ রোধে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
জনশুনানিতে ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোল কেন্দ্রের আধিকারিক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) রাজেশ রাঠোর, রঘুনাথপুরের এসডিও তামিল ওভিয়া এস এবং এসডিপিও অবিনাশ ভীমরাও যাধোয়ার। শুনানির শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘ছাই সংক্রান্ত দূষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’
বর্জ্য ছাই ডাম্পারে নিয়ে যাওয়ার সময় চারপাশে উড়ে গিয়ে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে এ দিন শুনানিতে সরব হন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা অক্ষয় মণ্ডল, মলয় মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘গাড়িতে করে পরিবহণের সময় ছাই উড়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট থেকে ঘরবাড়িতে। এতে জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা।’’
প্রকল্প অধিকর্তা চৈতন্য প্রকাশ বলেন, ‘‘বর্জ্য ছাই পাইপে করে ছাইপুকুরে পাঠানো হয়। কিছু পরিমান ছাই আশপাশের সিমেন্ট কারখানায় সরবরাহ করা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণে এ বার মালগাড়িতে ছাই পরিবহণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দা দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়, রবিলাল হেমব্রম, অনিমা মাহাতো, সোমা মাঝিরা শুনানীর সময় অভিযোগ করেন, ‘‘বহু জমিহারার এখনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেনি ডিভিসি।’’
প্রকল্প অধিকর্তা চৈতন্য প্রকাশের দাবি, ‘‘আরটিপিএসে বর্তমানে ১,১৮০ জন কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় ও জমিহারা। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হলে অন্তত হাজার তিনেক স্থানীয় বাসিন্দা, জমিহারারা প্রকল্প নির্মাণে কাজ পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy