রবিবার রাতে পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
রবিবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার পর এক দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান পাওয়া গেল না পাঁচ বছরের শিশুর। রবিবার রাতে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তল্লাশি চালানোর পরে সোমবারও শিবম ঠাকুরের (সোমবার নিখোঁজ শিশুর নাম শিবমের পরিবর্তে শুভম লেখা হয়েছে। এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী) কোনও খোঁজ না মেলায় উৎকণ্ঠায় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙাপাড়ার বাসিন্দা শিশুটির পরিবার। পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “আমাদের তরফে সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারব।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের দুই সন্তান। দশ বছরের সুপ্রিয় ও পাঁচ বছরের শিবম। শম্ভু পেশায় নাপিত। কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময়েই তিনি বাইরে থাকেন। মমতাদেবী বাড়ি সামলান। রবিবার সকালে বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিস্কুট কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল শিবম। বাড়ি ফেরার পথেই সে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে পরিবারের অভিযোগ। খবর পাওয়ার পরই বাড়ির লোকজন-সহ প্রতিবেশীরা রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্থানীয় একটি পুকুরে তন্ন তন্ন করে খোঁজ করেন। তার পরেও খোঁজ মেলেনি শিবমের। দুপুরে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
রবিবার থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালালেও শিবমের খোঁজ মেলেনি। এ দিনও বিশাল শিশুটির বাড়ির আশপাশের এলাকা থেকে শুরু করে সোনাঝুরি, চিপকুটি এলাকায় ও রেল স্টেশন চত্বরে দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু এখনও শিশুটির খোঁজ না মেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের দাবি, এলাকায় কোনও নজর ক্যামেরা না থাকায় শিশুটির খোঁজ পেতে অসুবিধে হচ্ছে। শম্ভুর দিদি বিভা ঠাকুর বলেন, “কারও সাথে আমাদের কোনও শত্রুতা বা অশান্তিও নেই। এরপরও কীভাবে পাঁচ বছরের শিশু নিখোঁজ হয়ে গেল তা আমরা ভেবেও পাচ্ছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy