Advertisement
E-Paper

Maoist party: পুরুলিয়ার মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় ১৫ বছর পর খুলল পুলিশ ফাঁড়ি, কড়া হচ্ছে নিরাপত্তা

সব মিলিয়ে ঝা়ড়খণ্ড সীমানার কাছে ও পুরুলিয়ায় মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে নতুন করে নিরাপত্তার মানচিত্র গুছিয়ে নিতে চাইছে প্রশাসন।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ২৩:১৬
Share
Save

পুরুলিয়া জেলার ঝাড়খণ্ড সীমানায় মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় ক্রমে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক দিকে বাঘমুন্ডির সুইসা ফাঁড়িতে এ বার থেকে নিযুক্ত হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্য দিকে পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকায় ১৫ বছর পর নতুন করে তৈরি হল রাজ্য পুলিশের ফাঁড়ি। সব মিলিয়ে ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে ও পুরুলিয়ায় মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে নতুন করে নিরাপত্তার মানচিত্র গুছিয়ে নিতে চাইছে প্রশাসন।

২০০৬ সালে ২৯ ডিসেম্বর মাসে বরাবাজার থানার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকার বেরাদা গ্রামে যাত্রার অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই কনস্টেবল-সহ তিন জনকে হত্যা করে মাওবাদীরা। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গুলি ছিনতাই করে গেরিলা কায়দায় হামলাকারী মাওবাদীদের দলমা স্কোয়াড। এই ঘটনার পরের দিনই এই থানা এলাকার সিন্দ্রি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ কর্মীদের লাইন ক্লোজ করে ফাঁড়ি তালা দিয়ে দেয় জেলা পুলিশ। সেই ফাঁড়িই ফের চালু করা হল। এই এলাকা থেকে বরাবাজার ও মানবাজার থানার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের কমলপুর থানা। তার মধ্যে একটি পুলিশ ফাঁড়ি ফের চালু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। আপাতত ফাঁড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে জুনিয়র কনস্টেবলের ‘অ্যাসল্ট গ্রুপ’-কে। আগামী দিনে এখানে আধিকারিক মোতায়েন করে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ফাঁড়ির রূপ দিতে চায় বলেই জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

অন্য দিকে এ বার থেকে বাঘমুন্ডির সুইসা ফাঁড়িতে শিবির তৈরি করে অরক্ষিত ঝাড়খন্ড সীমানায় নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুইসার আশেপাশের ১৯ কিমি জুড়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত রাঁচি জেলার সনাহাতু ও সেরাইকেলা-খরসাওয়ান জেলার সীমানা। এই এলাকায় বর্তমানে মাওবাদীদের অন্যতম শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোরাফেরা করে। এই দলে রয়েছেন দলে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা পতিরাম মাঝি ওরফে অনল দা। এ ছাড়া অমিত মুণ্ডা, মহারাজ পরামানিকের মতো মাও গেরিলা যোদ্ধারা রয়েছেন এই স্কোয়াডে। তাঁদেরই নেতৃত্বে ২০১৯ সালে ১৪ জুন দিনে দুপুরে তিরুল-ডি থানা এলাকার কুকরু হাটে গেরিলা কায়দায় হামলা চালিয়ে টহলদারি পুলিশ ভ্যানে থাকা পাঁচ জন পুলিশকর্মীকে খুন করে অস্ত্র লুট করে মাওবাদীরা। এই ঘটনার পর মাঠা অঞ্চলের দিগরদি ক্যাম্পে রাজ্য পুলিশকে সরিয়ে সেখানে আধা সেনা মোতায়েন করা হয়। বাড়তি নজর দেওয়া হয় সুইসা ফাঁড়ির উপর। কারণ, অতীতে সুইসা ফাঁড়িতেও হামলার ছক কষেছিল শতাধিক মাওবাদীদের একটি দল। তবে এই খবর জেলা পুলিশের শীর্ষ স্তরে পৌঁছে যাওয়ায় সে বারে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন বলেছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতেই এই দু’টি শিবির করা হয়েছে।’’

Maoist crpf

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।