ছবি: সংগৃহীত
গঠিত হয়েছে মহিলা পুলিশকর্মীদের নিয়ে বিশেষ দল। সাধারণ পোশাকে ভিড়ে মিশে তাঁরা নিরাপত্তা দেবেন মূলত মহিলা দর্শনার্থীদের। মহিলাদের উদ্দেশে কাউকে কটুক্তি করতে দেখা গেলেই ধরা হবে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মহিলাদের নিরাপত্তায় ঝালদা মহকুমায় থাকছে এই ব্যবস্থা।
পুজো শুরুর প্রাক মুহূর্তে মহকুমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ঝালদা থানায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া। সূত্রের খবর, বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়ক এক গুচ্ছ পরামর্শও দেওয়া হয়েছে থানা স্তরের আধিকারিকদের। নিরাপত্তা, যান চলাচল, মণ্ডপে-মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা, শব্দবাজির ব্যবহার, ইভটিজ়িংয়ের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) ধৃতিমান সরকার, এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজও হাজির ছিলেন। ছিলেন ঝালদা মহকুমা এলাকার সব ক’টি থানা এবং ফাঁড়ির ওসি এবং আইসি’রা।
ধৃতিমানবাবু বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো এবং রাবণ দহনের সময় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বৈঠক করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা থানা এলাকায় এ বার পাঁচটি ‘পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র’ খোলা হবে। সমস্যায় পড়লে দর্শনার্থীদের সেই কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। ওই কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও থাকবে। কোটশিলা, বাঘমুণ্ডি এবং জয়পুর থানা এলাকায় একটি করে ওই ধরনের কেন্দ্র খোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। মহিলা পুলিশকর্মীরা সাধারণ পোশাকে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিশে থাকবেন। কাউকে অভ্যবতা করতে দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনরাত মোটর বাইকে টহল দেবেন পুলিশকর্মীরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া, ছুটি বাতিল করা হয়েছে মহকুমার সব পুলিশকর্মীর।’’
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ঝালদা মহকুমার সমস্ত পুজো কমিটি তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নাম এবং ফোন নম্বর লেখা তালিকা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে পুলিশ। এ বার বাড়তি কিছু টহলদারি ভ্যানও থাকবে রাস্তা। ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকার বহু জায়গায় সারা বছর নাকা-তল্লাশি চলে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ বার আরও কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও নাকা-তল্লাশি হবে। পুজোর সময় ঝালদায় অপরাধ করে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা হলে তা ব্যর্থ করা হবে।
পুজোর সময় ঝালদা শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল থেকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না পণ্যবাহী গাড়ি। টোটো-অটো চলাচলের রুট-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শহরে বসানো হয়েছে বাড়তি কয়েকটি ‘ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা’। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্যের জন্য বাড়তি হোমগার্ড নিয়োগ করেছে প্রশাসন। বুধবার থেকেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা কাজ করবেন বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy