প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
সোমবারের পর বুধবার। আবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সরকারি বাসভবন ‘পূর্বিতা’য় পৌঁছে গেল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের গাড়ি। উপলক্ষ্য, প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা পুলিশের। সোমবার তাঁকে তিনটি মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার তিনি আরও দু’টি মামলায় পুলিশের জেরার মুখে পড়েছেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকাকালীন কম বিতর্কে জড়াননি বিদ্যুৎ। মেয়াদ ফুরনোর পরেও সেই বিতর্কের রেশ অটুট। উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোট পাঁচটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দেয় শান্তিনিকেতন থানা। পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান বিদ্যুৎ। আদালত পুলিশকে বলে, ২০ এবং ২২ নভেম্বর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎকে জেরা করা যাবে। আদালতের নির্দেশ মেনে পুলিশ গত ২০ নভেম্বর প্রথম বার উপাচার্যের সরকারি বাসভবন পূর্বিতায় গিয়ে তাঁকে জেরা করে। বুধবার আবারও একই ঠিকানায় পৌঁছল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও উপাচার্যের সরকারি বাসভবন ছাড়েননি বিদ্যুৎ। বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পেলেও পূর্বিতার আবাসিক হিসাবেই রয়ে গিয়েছেন বিদ্যুৎ। বুধবার সকালে শান্তিনিকেতন থানার ওসি-সহ তদন্তকারী আধিকারিকদের নিয়ে পুলিশের গাড়ি পৌঁছয় পূর্বিতায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে গত সোমবার। বুধবার বাকি দু’টি মামলা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত পাঁচ বছরের মেয়াদে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিদ্যুতের। উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ পাতার একটি চিঠি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই চিঠির ভাষা অশালীন এবং কুরুচিকর বলে দাবি করে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ফলক বসানো ছাড়াও বিদ্যুতের বিরুদ্ধে আরও চারটি অভিযোগকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করে শান্তিনিকেতন থানা। সেই মামলায় প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্প্রতি পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে নোটিস দিয়ে আসেন। এর পর যে দিন হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল, সে দিন প্রাক্তন উপাচার্য তিন সপ্তাহ সময় চাওয়ার পাশাপাশি আইনজীবী মারফত কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত রক্ষাকবচ দিলেও পুলিশ বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানায়। এর পরেই শান্তিনিকেতন থানার তরফে ফের তাঁকে নোটিস ধরানো হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ২০ নভেম্বর তিনটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ২২ নভেম্বর অন্য দু’টি মামলার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রাক্তন উপাচার্যকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy