Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নদীর ধারে মিলল বোমা

দাঁড়কা পঞ্চায়েত এলাকায় বিস্ফোরণ এবং পরপর বোমা উদ্ধারে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মীরবাঁধ গ্রাম লাগোয়া ময়ূরাক্ষী নদীবাঁধের সরবনের মধ্যে বালতি ও ব্যাগে বোঝাই ২৪টি তাজা বোমার হদিস মেলে।

হদিস: সরবনে লুকোনো বোমা (চিহ্নিত)। দাঁড়কায়। নিজস্ব চিত্র

হদিস: সরবনে লুকোনো বোমা (চিহ্নিত)। দাঁড়কায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাভপুর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৭
Share: Save:

ফের তাজা বোমা উদ্ধার হল লাভপুরের দাঁড়কার মীরবাঁধ গ্রাম লাগোয়া ময়ূরাক্ষী নদীর পাড়ে।

কয়েক দিন আগেই বিস্ফোরণে দাঁড়কা পঞ্চায়েতের দাঁড়কা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত আবাসন ভেঙে পড়ে। মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণেই ওই ঘটনা ঘটে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ। রবিবার সকালেও ওই পঞ্চায়েতের দরবারপুর গ্রাম লাগোয়া সেচখালের পাড় থেকে একটি ড্রাম ভর্তি ২৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে, শুধুই লাভপুর নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি অভিযান অব্যাহত। শুধু শনিবার রাতেই অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে জেলা থেকে মোট ৩৯৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল শতাধিক বোমাও। আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল কয়েক জন। রবিবারও তেমন অভিযানে পুলিশ ৬৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। লাভপুর, লোকপুর ও পাড়ুই থানা এলাকা থেকে মোট ৭৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে জেলায়।

তবে দাঁড়কা পঞ্চায়েত এলাকায় বিস্ফোরণ এবং পরপর বোমা উদ্ধারে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মীরবাঁধ গ্রাম লাগোয়া ময়ূরাক্ষী নদীবাঁধের সরবনের মধ্যে বালতি ও ব্যাগে বোঝাই ২৪টি তাজা বোমার হদিস মেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা তথা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের পাশাপাশি মীঁরবাধ গ্রামের কয়েক জনের সঙ্গে দরবারপুরের কয়েক জন বাসিন্দার বালিঘাট দখলের বিবাদও দীর্ঘ দিনের। তার জেরে বিভিন্ন সময় দু’পক্ষের বোমাবাজিতে তেতে ওঠে গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকায় ধরপাকড়ের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু হয়েছে। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই কোথাও না কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে।

এ নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়াও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, ‘‘এলাকা দখলের ছকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করে রেখেছিল। এখন ধরা পড়ার ভয়ে ওখানে সেখানে ফেলে দিয়ে আসছে।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘যে দু’টি গ্রামের নাম উঠে আসছে, সেখানে আমাদের সংগঠন নেই বললেই চলে। তা হলে বোমা মজুত করে রাখার জায়গা কোথা থেকে আসবে?’’

পুলিশ জানায়, কারা কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mayurakshi River Bombs Labhpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy