মার্চ মাসে বনবিভাগের ট্র্যাপ ক্যামেরার ছবি এবং গ্রামবাসীদের ক্যামেরাবন্দি করা চিতাবাঘ শাবক। ছবি: সংগৃহীত।
বন দফতরের বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় জোড়া চিতাবাঘের উপস্থিতি জানা গিয়েছিল কয়েক মাস আগেই। এ বার পুরুলিয়ার কোটশিলার সিমনি বিটের জঙ্গলে চিতাবাঘ শাবকের দেখা মিলেছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা দাবি করলেন। স্থানীয় এক গ্রামবাসীর তোলা চিতাবাঘ শাবকের ছবি (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে বনবিভাগ।
চিতাবাঘ শাবকের উপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার করা হলে পুরুলিয়ার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘‘আমরা এখনও সরকারি ভাবে কোনও ছবি পাইনি। তাই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছি না চিতাবাঘ শাবকের দেখা মিলেছে কি না। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ ছবি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। সেই ছবি আমরাও দেখেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও ৫-৬টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করছি।’’
তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে সিমনি বিট এবং লাগোয়া জঙ্গলে বনবিভাগের বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় দু’টি পৃথক পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তার মধ্যে সম্ভবত একটি পুরুষ এবং অন্যটি তার সঙ্গিনী। ফলে এ বার তাদের শাবকের দেখা মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘটনা সত্যি হলে তা ‘খুশির খবর’ জানিয়ে ডিএফও বলেন, ‘‘তারা (চিতাবাঘ) এখন এই জঙ্গলকে নিরাপদ মনে করেছে। সেই পরিস্থিতি আমাদের বজায় রাখতে হবে।’’ একই সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘ওই এলাকার মানুষ এখন যথেষ্টই সচেতন।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুন মাসে কোটশিলা বনাঞ্চলেরই টাটুয়াড়া এলাকায় একটি চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে আসার পর তাকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ। সেই ইতিহাস মনে রেখে এ বার ধারাবাহিক ভাবে চিতাবাঘ রক্ষার জন্য সচেতনতা প্রচার এবং নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর। গভীর জঙ্গলে, ছোট বাচ্চা নিয়ে অকারণে যাতায়াত না করার আবেদনও জানানো হয় গ্রামবাসীদের কাছে। স্থানীয় সিমনি গ্রামের বাসিন্দা রেংটু বেসরা বলেন, ‘‘বাচ্চা নিয়ে চিতাবাঘ সিমনি জাবর পাহাড় লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলেও বিচরণ করছে। আমাদের এই জঙ্গল যে তাদের কাছে নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠেছে, এতেই আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy