Advertisement
E-Paper

অনুমতি বাতিল, রেস্তরাঁ বন্ধ করল পুরসভা

সাহেববাঁধের যে ঘাট থেকে শিকারায় চড়েন মানুষজন, তার পাশেই পুজোর মরসুমে রেস্তরাঁটি চালু হয়। বিরোধী এবং শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশ রেস্তরাঁ নিয়ে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভায় কোনও আলোচনা না করেই জাতীয় সরোবরের ধারে রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে।

বন্ধ রেস্তরাঁ। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ রেস্তরাঁ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৬
Share
Save

সাহেববাঁধের ধারে রেস্তরাঁ চালু করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই রেস্তরাঁ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল পুরুলিয়া পুরসভা। শনিবার বিকেলে ওই রেস্তরাঁয় গিয়ে দেখা যায়, সেটি বন্ধ রয়েছে। কোনও কর্মীরও দেখা মেলেনি। স্থানীয় কিছু লোকজন দাবি করেছেন, এ দিন সকাল থেকেই রেস্তরাঁটি খোলেনি। রেস্তরাঁর মালিক মহম্মদ আক্রম ফোনে বলেন, ‘‘আমরা নিয়ম মেনে আবেদন করেছিলাম। অনুমতিও পেয়েছিলাম। পুরসভা বলায় দোকান বন্ধ করেছি। কিন্তু কেন এই নির্দেশ ফিরে গিয়ে খোঁজ নেব।’’
সাহেববাঁধের যে ঘাট থেকে শিকারায় চড়েন মানুষজন, তার পাশেই পুজোর মরসুমে রেস্তরাঁটি চালু হয়। বিরোধী এবং শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশ রেস্তরাঁ নিয়ে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভায় কোনও আলোচনা না করেই জাতীয় সরোবরের ধারে রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে। বিতর্ক যখন বাধে, তখন পুজোর ছুটি চলছে। পুরসভা বন্ধ। পুরপ্রধান সামিমদাদ খানও শহরের বাইরে ছিলেন। সামিমদাদ সেই সময়ে দাবি করেছিলেন, বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শহরের সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি তিনি নিজে দেখভাল করেন। সেই সূত্রেই রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন।
শীতে মরসুমে পর্যটকদের কথা
ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন পুরপ্রধান।
পুরসভা খোলার পরে শাসকদলের কাউন্সিলরেরাই রেস্তরাঁ খোলার বিষয়টি নিয়ে সরব হন। পুরসভা সূত্রে খবর, পুরপ্রধান তখন দাবি করেছিলেন, কলকাতার কিছু পার্কে এ রকমের রেস্তরাঁ দেখেই তিনি অনুমতি দিয়েছিলেন। গত মরসুমে পর্যটকেদের মুখেও রেস্তঁরার চাহিদা শোনা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শনিবার সামিমদাদ বলেন, ‘‘পুরপ্রধান হিসেবে আমি ওই রেস্তরাঁটি খোলার যে অনুমতি দিয়েছিলাম, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ কেন এই সিদ্ধান্ত? পুরপ্রধান বলেন, ‘‘পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা না করে একটি রেস্তরাঁ খোলার জন্য পুরসভার তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাকে কেন্দ্র করে যে কোনও কারনে একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমি এই বিতর্কে জড়াতে চাই না। পুরুলিয়ার উন্নয়ন চাই।’’ তাঁর দাবি, পুরসভার বোর্ড সুন্দর ভাবেই চলছে। প্রত্যেক কাউন্সিলর সহযোগিতা করছেন। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হচ্ছে।
তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস এ দিন বলেন, ‘‘সাহেববাঁধ জাতীয় সরোবর। সেটির ধারে কেন হঠাৎ রেস্তরাঁ খোলা হল, সেই প্রশ্ন অনেকেই তুলেছিলেন। সেই জন্য আমরাও সরব হয়েছিলাম। মানুষের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে পুরপ্রধান রেস্তরাঁর অনুমতি বাতিল করেছেন। আমরা খুশি।’’

Purulia Municipality Resturant

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}