ফাইল চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডের প্রায় তিন মাস হতে চললেও অভিযুক্তদের অনেকে অধরা। জমা হয়নি চার্জশিট। এই পরিস্থিতিতে স্বজনহারাদেরঅনেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ধন্দে রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় ভাদুর দাদা বিকির আলি ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের মধ্যে ছ’জনকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এদের মধ্যে তিন জনের নাম এফআইআর-এ ছিল না। ধৃতরা সকলে বর্তমানে জেল হেফাজতে।এ দিকে, ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাশ শেখ, নিউটন শেখ, ছোট লালন শেখ সহ সাত জন এখনও ফেরার।
বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পরে একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ২১ মার্চ রাতের ওই ঘটনার পরে প্রায় ৯০ দিন হতে চলল। জানা গিয়েছে, বগটুই কাণ্ডের তদন্তে ২২ মার্চ রাজ্য সরকার সিট গঠন করার পরে ২২ জনের নাম উল্লেখ সহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৭০- ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। ২২ মার্চ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে ধরা হয়। ২৫ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই গ্রহণ করে। সিবিআই-এর আইজি অখিলেশকুমার সিংহের নেতৃত্বে সিবিআই বগটুই গ্রামে তদন্ত শুরু করে। তখন আগুনে পোড়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাস্থলের ছবি, ভিডিয়োগ্রাফি, ম্যাপ, স্কেচ শুরু করে এফএসএল টিম। টোটো ও মোটরবাইকে জ্বালানি ও বোমা বহন করার অভিযোগে বগটুই সংলগ্ন কুমাড্ডা গ্রামে তিনটি টোটো ও একটি বাইকও নজরে ছিল সিবিআই আধিকারিকদের। মূল অভিযুক্ত লালন শেখের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় তদন্তকারী দল। পরে সিবিআই মুম্বই থেকে চার জন এবং বগটুই থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে। এখনও পর্যন্ত বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে ২৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক জামিনে আছে।
এ সবের মাঝে পার হয়েছে প্রায় তিন মাস। লালন শেখ সহ মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে ধন্দে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা। স্বজনহারা কিরণ শেখের কথায়, ‘‘গণহত্যা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, সুজন শেখরা এখনও ধরা পড়েনি। আমরা আশা করেছিলাম সিবিআই তদন্তে মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে।’’ ঘটনার সঙ্গে জড়িতেরা প্রকাশ্যে থাকলেও তাদের ধরা হচ্ছে না বলে স্বজনহারাদের অনেকের অভিযোগ।
এ দিকে, ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে এখনও চার্জশিট জমা পড়েনি। স্বজনহারা পরিবারের পক্ষের আইনজীবী আবদুল বারির মন্তব্য, ‘‘সাধারণত ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা না পড়লেঅভিযুক্তদের জামিনের সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়। আশা করব এমন একটি মামলায় সিবিআই সময়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy