কষ্টার্জিত: যমুনা নদী থেকে এ ভাবেই খাবার জল নিয়ে যান বান্দোয়ানের কুইলাপালের কালিন্দীপাড়ার বাসিন্দারা। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
গ্রামে পানীয় জলের নলকূপ থেকে লোহা গুঁড়ো মেশানো জল বেরোয়। পান করা দূরের কথা, রান্না করতে গেলেও সমস্যা। তাই নদীর বালি খুঁড়ে স্বচ্ছ জল নিতে হয় বাসিন্দাদের। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কুইলাপালের কালিন্দী পাড়ার বাসিন্দারা শনিবার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সামনে পেয়ে এত দিনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সমস্যার কথা শুনে জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই গ্রামে জলের জন্য সৌরচালিত পাম্প বসানোর নির্দেশ দেন ব্লক প্রশাসনকে।
শনিবার একলব্য মডেল স্কুলের জন্য জমি দেখতে কুইলাপালে গিয়েছিলেন সুজয়বাবু। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত গ্রামের ওই পাড়ায় দু’টি সৌরশক্তি চালিত জলের পাম্প বসানোর জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে। নদীর কাছাকাছি জায়গা থেকে গভীর নলকুপ বসিয়ে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছনোর বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।”
কালিন্দী পাড়ায় কয়েকশো পরিবারের বাস। বাসিন্দারা জানান, দু’টি নলকূপ থাকলেও তার জল মুখে দেওয়া যায় না। তাই বছরের পর বছর ধরে তাঁরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর চরার বালি খুঁড়ে জল বের করেন। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল বেড়ে যাওয়াই তখন তাঁদের জল-সমস্যা তীব্র হয়।
গ্রামের মহিলা ভারতী কালিন্দী বলেন, “নলকূপের জলে এত লোহা গুঁড়ো থাকে যে ভাতের রং হলুদ হয়ে যায়। ডালও ঠিক মতো সিদ্ধ হয় না। তাই কষ্ট হলেও কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে রোজ নদীর বালি সরিয়ে পানীয় জল নিতে যেতে হয়। সেই জলেই রান্না চলে। বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’
বিডিও (বান্দোয়ান) শুভঙ্কর দাস বলেন, “ওই গ্রামের বাসিন্দারা নলবাহিত পানীয় জলের দাবি জানিয়েছেন। সে জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পানীয় জলের বিশুদ্ধতা বাড়াতে গ্রামের নলকূপে লোহা পরিশোধন যন্ত্র বসারনোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy