ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিচ্ছেন জেলা সভাধিপতি। নিজস্ব চিত্র
ইংরেজ শাসকের তাড়ায় জঙ্গল ঘেরা রানিবাঁধের ছেঁন্দাপাথরে আত্মগোপন করেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর স্মৃতিজড়িত সেই জায়গায় প্রতিবারের মতো এ বারও রবিবার তাঁর প্রয়াণ দিবসে সমবেত হয়েছিলেন মানুষজন। শহিদের মূর্তিতে তাঁরা মালা দেন। দিনভর আলোচনা করেন তাঁর আত্মবলিদানের কথা।
তবে, টানা ঘাটতির পরে শনিবার রাতে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি নামায় এ দিন ভোর থেকেই অনেকেই চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন। সে কারণে অন্য বারের মতো এ বার ছেঁন্দাপাথরে সাধারণ মানুষের ভিড় তেমনটা ছিল না। বক্তাদের কথায় ঘুরে ফিরে সেই প্রসঙ্গে উঠে আসে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, ‘‘ক্ষুদিরামের স্মৃতিই ছেঁন্দাপাথরকে সবার কাছে আলাদা জায়গা হিসেবে তুলে ধরেছে। তাই প্রতি বছর তাঁর আত্মবলিদান দিবস এখানে সাড়ম্বরে পালন করা হয়। তবে ভাল বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা এ দিন কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকায় এখানে লোকজন কমে এসেছেন।’’
ছেঁন্দাপাথর এসকে এসটি হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কয়েকজন এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মৌনী মিছিল করেন। মিছিল শেষ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করেন রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, সভাধিপতি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য চিত্তরঞ্জন মাহাতো, বারিকুল পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতো প্রমুখ।
জ্যোৎস্না বলেন, ‘‘শীতকালে এই জায়গাটি দেখতে বহু পর্যটক আসেন। ক্ষুদিরামের মূর্তির পাশে আলোর ব্যবস্থা নেই। ছেঁন্দাপাথরের শহিদ ক্ষুদিরাম উদ্যানে বিধায়কের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।’’ সেই সঙ্গে ওই উদ্যানের সৌন্দর্যয়ানেরও চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy