—ফাইল চিত্র।
রামপুরহাট-চাতরার মধ্যে তৃতীয় লাইনের কাজের জন্য আজ, ১৮ অগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল ও ঘুরপথে চালানোর কথা জানিয়েছে রেল। আগের বিবৃতিতে কাজ ৩০ অগস্টের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সাত দিন বেড়ে যাওয়া দুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা করছেন এই অঞ্চলের যাত্রীরা। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা বলেছে রেল।
রেল জানিয়েছে, আজ থেকে রামপুরহাট, সাদিনপুর, চাতরা স্টেশনে তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য ১০ জোড়া মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৮ জোড়া আপ ও ১৪ জোড়া ডাউন মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনকে ব্যান্ডেল-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। রামপুরহাট থেকে ১৫টি, বর্ধমান থেকে চারটি, আজিমগঞ্জ থেকে পাঁচটি, সাহেবগঞ্জ থেকে দু’টি এবং কাটোয়া, অন্ডাল, হাওড়া এবং বারহারওয়া থেকে একটি করে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
যাত্রীদের আশঙ্কা, টানা ২০ দিন তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। কাজ শেষের পরেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে বলেও আশঙ্কা। এখানে তারাপীঠ ও শান্তিনিকেতনের মতো পর্যটনস্থল রয়েছে। ট্রেন বন্ধ থাকলেপর্যটক কমারও আশঙ্কা রয়েছে। ফলে, শঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। তারাপীঠ লজ মালিক সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, ‘‘এতে যাত্রীর পাশাপাশি পর্যট কমবে। বর্ষার ভরা সিজেনে লজ ও ছোট, বড়, মাঝারি ব্যবসায়ীরা আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’’
‘রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক নিয়ামত আলি বলেন, ‘‘১৩ দিন থেকে টানা ২০ দিন করে দিন। এই সময়ে বিভিন্ন ট্রেন বন্ধ থাকায় নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়বেন। বিশেষ করে এই সময়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি হবে। রেলের এক্ষেত্রে বিকল্প কিছু ভাবনার দরকার ছিল।’’
যদিও রেল জানিয়েছে এই অঞ্চলের যাত্রীদের ভোগান্তির থেকে বাঁচাতে আজিমগঞ্জ-রামপুরহাটের মধ্যে একটি, আজিমগঞ্জ তকিপুরের মধ্যে দু’টি, বর্ধমান-তারাপীঠের মধ্যে চারটি স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে।
গোড্ডা-শিয়ালদহ প্যাসেঞ্জার ট্রেন দুপুরের পরিবর্তে সন্ধ্যায় রামপুরহাট স্টেশন থেকে শিয়ালদহের দিকে যাবে। পাশাপাশি রেল জানিয়েছে, রামপুরহাট স্টেশনে দিয়ে এ সময়ে হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস এবং বনাঞ্চল এক্সপ্রেস যাবে।
বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘ট্রেন বন্ধে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১-২ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সেমিনার আছে। সেখানেও অনেকের আসার কথা। ওই দিনগুলিতে স্পেশাল ট্রেন চালানোর জন্য ডিআরএমকে জানানো হয়েছে। উনি স্পেশাল ট্রেন চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’’ পাশাপাশি রেলের দাবি, কাজ শেষ হলে এই অংশে ট্রেন পরিষেবার উন্নতি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy