রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন অবিনাশপুরের শিক্ষক ছকড়ি মজুমদার। ফাইল ছবি
শিক্ষক দিবসে প্রথম রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের পাশাপাশি স্কুলের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক ছকড়ি মজুমদারকেও স্মরণ করা হয় পাড়ুইয়ের অবিনাশপুর শ্রীরাম হাইস্কুলে। কারণ, তিনিই ছিলেন জেলার প্রথম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমোদপুর সংলগ্ন সাঙ্গুলডিহি গ্রামে ১৮৯৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ সালে মানভূমের পাণ্ড্রারাজ হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯২৭ সালে তিনি সুলতানপুরের জমিদার শিক্ষানুরাগী অবিনাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেই স্কুলটিই আজ অবিনাশপুর শ্রীরাম উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, জমিদারের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি স্কুলটিকে আদর্শ শিক্ষালয় হিসাবে গড়ে তুলতে কার্যত প্রবল পরিশ্রম করেছিলেন।
সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্কুলেই পড়ে থাকতেন। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁত, লোহা, কাঠ, কৃষি-সহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং সামগ্রী উৎপাদন করা হত। স্কুল পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ হন ব্রতচারীর প্রবর্তক তদানীন্তন জেলাশাসক গুরুসদয় দত্তও। তাঁরই প্রেরণায় স্কুলে গড়ে ব্রতচারী দল। ওই স্কুলকেই জেলায় ব্রতচারী আন্দোলনের সূতিকাগার মনে করা হয়ে থাকে।
১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার তদানীন্তন শিক্ষাসচিব ওই স্কুলের কথা জানতে পেরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পরিদর্শনে আসেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের তাঁতের কাপড়, কাঁসার বাসন, সাবান তৈরি, আনাজ চাষ করতে দেখে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার পরেই জাতীয় পুরস্কারের জন্য ছকড়ি মনোনীত হন। রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ৩৪ বছর শিক্ষকতার পরে ৬৫ বছর বয়সে অবসর নেন। তাঁর ছেলে অজয় মজুমদারও ওই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
আজও শিক্ষক দিবসে তাঁর নাম স্মরণ করা হয়। তাঁর ভাইপো তথা ছাত্র ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ৮৭ বছরের সুনীল মজুমদার বলেন, ‘‘উনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। তাই তাঁকে আচার্যদেব বলা হত। তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যে বহু দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘শুধু শিক্ষক দিবসই নয়, স্কুলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy