রামপুরহাটের গাঁধী পার্ক। নিজস্ব চিত্র
সামনে পুরভোট। সে কথা মাথায় রেখে শাসক দল দেওয়াল ঘেরার কাজ সেরে ফেলেছে। এ বার লক্ষ্য শহরের সৌন্দর্যায়ন। পুরভোটের মুখে তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভা শহরের একমাত্র বিনোদনের জায়গা গাঁধী পার্কের সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছে।
গ্রিন সিটি প্রকল্পে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্কের ভিতর গাঁধী দিঘির জলে ভাসমান বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দু’টি ফোয়ারা তৈরি করে আলোর কারসাজিতে সাজানো হবে। রঙিন আলোর ছটায় ফোয়ারা জলও রঙিন হবে। তবে এখনই আলোক বিচ্ছুরণের সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেম যোগ করা হচ্ছে না বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, তিন পর্যায়ের এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যে-সব সংস্থার এই সমস্ত কাজের দক্ষতা আছে, কেবলমাত্র তারাই এই দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে, তারা কাজের বরাত পাবে।
২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত গাঁধী পার্ক বন দফতরের অধীনে ছিল। বন দফতর ২০১৪-র ২২ জুলাই রামপুরহাট পুরসভাকে গাঁধী পার্ক হস্তান্তর করে। ২০১৫ সালে পুরসভা একক ভাবে তৃণমূলের দখলে আসে। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি পার্কের সৌন্দর্যায়নের দিকে নজর দেন। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়ে পার্কে শিশুদের খেলার জন্য নানা রাইড, বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি স্ট্যাচু, পার্কে ঢোকার উঁচু গেট তৈরি করা হয়। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে গ্রিন সিটি প্রকল্পে ৪০ লক্ষাধিক টাকায় পার্কের ফেন্সিং, রেলিং, ঘাট নির্মাণ করা হয়। দু’টি স্পিড বোটও কেনা হয়। বর্তমানে একটি স্পিড বোট চালু আছে। টয় ট্রেনের স্লিপার খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য নতুন স্লিপার বসানোর কাজ চলছে। পুরপ্রধান জানান, বর্তমানে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে গাঁধী দিঘির জলে ভাসমান বাগান গড়ে তোলা হবে। স্পিড বোটে ওই বাগানে বেড়ানোর সুযোগ থাকবে। এর জন্য ৫৪ লক্ষ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গাঁধী দিঘির সংস্কারের জন্য ৪৫ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই সব কাজ এবং ফোয়ারা তৈরির জন্য তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy