রাত সাড়ে ৮টাতেই সুনসান শহরের রাস্তাঘাট। নিজস্ব চিত্র।
সন্ধ্যা নামতেই দোকানে ঝাঁপ পড়ছে ঝালদায়
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
ঝালদা
চার দিন পেরিয়ে গিয়েছে ঘটনার পরে। কিন্তু আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি ঝালদায়। রবিবার বিকেলে রাস্তায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ার পরে, প্রাচীন এই শহরের চেহারা যেন অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই ঝাঁপ পড়ে যাচ্ছে দোকানপাটের। ঘরমুখো হচ্ছেন বাসিন্দারা। সুনসান রাস্তায় পুলিশের নজরদারি চলছে।
সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন তপনবাবু। শহরের যাঁরা নিয়মিত সান্ধ্যভ্রমণে যেতেন, ঘটনার পর থেকে তাঁদের অনেকেই যাচ্ছেন না বলে জানান। তাঁদেরই এক জন, ঝালদার স্টেশন রোডের বাসিন্দা সনাতন খাঁয়ের কথায়, ‘‘আমরা কয়েক জন বিকেলে হাঁটতে বেরোতাম। ওই দিনের পর থেকে আর বেরোচ্ছি না।’’ বুধবার রাত সওয়া ৮টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডের এক দোকানদার দোকানের ঝাঁপ নামাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আগে তো প্রাণে বাঁচা দরকার। খামোখা ঝুঁকি নিয়ে লাভ নেই। উপার্জনের পাশাপাশি, পরিবারের কথাও তো ভাবতে হবে।’’ বাসস্ট্যান্ড ঘেঁষে মূল রাস্তার পাশে বড় মুদি দোকান বিমল কেডিয়ার। তিনি জানান, খুনের ঘটনার আগে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতেন। কিন্তু এখন রাত ৯টার আগেই বাড়ি থেকে দোকান বন্ধ করে ফেরার জন্য ফোন আসছে।
রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত মোটামুটি সচল থাকে ঝালদা শহর। খোলা থাকে দোকানপাট। চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ে বসে আড্ডার আসর। এক পানের দোকানদারের কথায়, ‘‘আমার তো দোকান বন্ধ করতে রাত ১১টা বাজত। এখন ঘড়ির কাঁটা নয়ের ঘর পৌঁছতেই বন্ধ করছি।’’ শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দার দাবি, ‘‘বহু দিন আগে শহরে এক বার অশান্তি হয়েছিল। যত দূর মনে পড়ে, তখনও এমন থমথমে পরিস্থিতি হয়নি।’’
শহরে এখনও থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে, মেনে নিচ্ছেন পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক। তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘আতঙ্কের কিছু নেই। শহরের
বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy