বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে আরও কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিল রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বুধবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে ব্লক স্তরে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের দফতর ও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তর থেকে কর্মী নিয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা হল, বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে প্রায় ১২ লক্ষ পরিবারে পাকা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পের মোট বরাদ্দের অর্ধেক অর্থ অর্থাৎ ৬০ হাজার টাকা মিললেও নির্মাণকাজে গতি নেই বলে দাবি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজ্য স্তরে। পরিদর্শনে খামতি থেকে যাচ্ছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কাজে গতি আনতেই পরিদর্শনে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় ৭৩ হাজার পরিবার বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পের আওতায় পাকা বাড়ি তৈরির অর্থ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার বাড়ি বানানো শুরুই করতে পারেনি। লিনটন পর্যন্ত ঢালাই হয়েছে কেবল সাড়ে পাঁট হাজার বাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের উপভোক্তারা দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার যোগ্য হবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
তবে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, গৃহ নির্মাণ শুরু হলেও দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ দেওয়া যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নির্মাণসামগ্রী কিনে ফেললেও রাজমিস্ত্রির অভাবে উপভোক্তারা বাড়ির কাজ শুরু করতে পারছেন না বলে পরিদর্শকেরা জানিয়েছেন। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, “রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)