প্রতীকী ছবি।
মুখে জল দিয়ে ওষুধ গিলে খেতে গিয়ে তিনটি বাঁধানো দাঁত গলায় আটকে বিপদে পড়েছেন এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মদনমোহন মন্দির এলাকায়। বছর ষাটের হিরালাল হাজারির দাঁত শ্বাসনালিতে চলে যাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলি থেকে তা বার করা যায়নি। রাতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার পর্যন্ত এসএসকেএম-এ দাঁত বার করা যায়নি। সেখান থেকে এ দিন রাতে তাঁর শ্যালিকা টগর দত্ত ফোনে বলেন, ‘‘পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তবে ডাক্তারবাবু বলেছেন গলায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। কবে করবে জানায়নি।’’ তিনি জানান, শনিবার গলায় দাঁত আটকে যাওয়ার পরে হিরালালবাবুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। এসএসকেএম-এর ডাক্তারেরা দাঁত বার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। টগরদেবী বলেন, ‘‘এ দিন জামাইবাবুর শ্বাসকষ্ট কমেছে। তবে গলায় ব্যথা রয়েছে। খাওয়াদাওয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।’’
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্খশিল্পী হীরালালবাবু নিঃসন্তান। প্রতিদিনের মতোই ওষুধ খেতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁর বাঁধানো তিনটি দাঁত খুলে ওষুধের সঙ্গেই গলায় আটকে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন দাঁত বার করার।
দিব্যেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ততক্ষণে বাঁধানো দাঁত গলা থেকে চলে গিয়েছিল শ্বাসনালিতে। সেই অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।’’ কিন্তু বাঁকুড়া থেকে কলকাতা নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক বেশি ভাড়া চাওয়ায় হিরালালবাবুর পরিবার সমস্যায় পড়েন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অন্য একটি গাড়ি জোগাড় করে পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যান। বিষ্ণুপুর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎ কান্তি পাল বলেন , “আমাদের এখানে পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েছে। তাও যা যন্ত্রপাতি ছিল, তা দিয়ে দাঁত গলা থেকে বার করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy