প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের করোনা-মানচিত্রে ‘রেড জ়োন’ উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ‘গ্রিন জ়োন’ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কাজে যোগ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিষ্ণুপুর) বিপ্লব দাস। কারণ, তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ব্যারাকপুর ছাড়ার আগে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। তবে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে দফতরে আলাদা ঘরে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ২ ব্লকের বাসিন্দা বিপ্লববাবু সোমবার বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর আসেন। মঙ্গলবার তিনি কাজে যোগ দেন। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, ব্যারাকপুর থেকে বিষ্ণুপুরে আসার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো উচিত ছিল বিপ্লববাবুর। যদিও বিপ্লববাবুর বক্তব্য, এত দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। কোনও রোগের উপসর্গও তাঁর নেই। সব শুনে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ফাল্গুনী সৎপথী অবশ্য এ দিন বলেন, “বিপ্লববাবুকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিচ্ছি।”
বিপ্লববাবু বিষ্ণুপুরের মালঞ্চপাড়ায় এক বয়স্ক দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত ২১ মার্চ বিষ্ণুপুর থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন বিপ্লববাবু। তিনি জানান, বিষ্ণুপুরে তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, তার মালিককে তিনি ফোন করে তাঁর ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। তবে বাড়ির মালিক তাঁকে ভাড়াবাড়িতে না আসার অনুরোধ করেন। ফলে, সোমবার রাতটা তিনি কার্যালয়েই কাটান। বিপ্লববাবু যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, তার মালিক সুহৃদরঞ্জন দাসের বক্তব্য, “ভাড়াটিয়াকে বাড়িতে থাকতে না দেওয়ার কোনও অভিসন্ধি আমাদের নেই। তবে আমার এবং আমার স্ত্রীর বয়স হয়েছে। এমন সঙ্কটের সময়ে তাঁকে নিজের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি বুঝেছেন বলেই আমার বাড়িতে আসেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উনি নিশ্চয়ই আসবেন।”
এ দিন বিপ্লববাবু কাজে যোগ দিতেই শুরু হয় বিতর্ক। তবে বিপ্লববাবুর বক্তব্য, “আমি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই বিষ্ণুপুরে এসেছি। এত দিন বাড়ির বাইরে বেরোইনি। শরীরে কোনও উপসর্গও নেই। তা হলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে লাভ আছে কি?”
এ বিষয়ে ফাল্গুনীবাবুর প্রতিক্রিয়া, “উনি পৃথক একটি ঘরে অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই কাজ করেছেন। বলা যায়, এক প্রকার কোয়রান্টিন-এ থেকেই উনি কাজ করছেন। তবে ওঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার কথা বলছি।’’
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “কোনও ব্যক্তি রেড জ়োন থেকে গ্রিন জ়োনে আসতে চাইলে আগে তাঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে নিয়েই তাঁকে গ্রিন জ়োনে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা না হয়ে থাকলে, ওই আধিকারিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো উচিত। হাসপাতালে এলে তা করানো হবে।” এ কথা শুনে বিপ্লববাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমি এটা জানতাম না। স্বাস্থ্য দফতর যদি বলে, তবে নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy