পরিদর্শন: দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার রাতে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শৌচাগারে রাখা ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয়েছিল সদ্যোজাত শিশুপুত্র। ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল সরকারি হাসপাতালে নজরদারি নিয়ে। এ বার তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কী ভাবে এমন ঘটল, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী ভাবে আরও জোরাল করা যায় তা দেখতে শনিবার সকালে সপার্ষদ দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ জেলাশাসকের সঙ্গে হাসপাতালে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রশান্ত অধিকারী, মহকুমাশাসক রাজীব মণ্ডল, বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি, ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) কাশীনাথ মিস্ত্রি, দুবরাজপুরের বিডিও প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মহিলা ওয়ার্ডের শৌচাগারের কাছে একটি শিশুর কান্না শুনতে পান এক মহিলা। কান্না কোথা থেকে আসছে তা বুঝতে না পেরে অন্যদের সে কথা জানান। কান্নার আওয়াজ পেলেও সহজে শিশুটির সন্ধান পাচ্ছিলেন না অন্যরাও। খবর ছড়াতেই আসেন হাসপাতাল চত্বরে থাকা অন্য লোকেরাও। তাঁদেরই এক জন শৌচাগারের কোণে কাপড় দিয়ে ঢাকা ডাস্টবিন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে আসেন নার্স, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। আসে পুলিশও। পরে শিশুটিকে সিউড়ির নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, ওই সদ্যোজাতের প্রসব সেখানে হয়নি। বাইরে থেকে এসে কেউ শিশুটিকে রেখে চলে গিয়েছে। তা কতটা সঠিক সে নিয়ে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। শৌচাগারের করিডরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। তবে সেটির ‘ফুটেজ’ থেকে কিছু পাওয়া গিয়েছে কিনা স্পষ্ট হয়নি।
এমনই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকের হাসপাতাল পরিদর্শন যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, বিষয়টি ‘নবান্ন’-এর কানে পৌঁছনোর জেরেই এই পরিদর্শন। এ দিন জেলাশাসক-সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা প্রসূতি বিভাগ, শৌচাগার-সহ গোটা হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। বিএমওএইচ সোমনাথ অধিকারীর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠকও করেন প্রশাসনিক কর্তারা।
পরে সংবাদমাধ্যমকে জেলাশাসক বলেন, ‘‘শৌচাগারে শিশু পাওয়া গিয়েছিল। তা নিয়ে তদন্ত চলছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে আরও জোরদার করা যায়, সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি বাড়ানো যায় সে সব দেখা হচ্ছে। পরিকাঠামো গত কিছু অসুবিধার কথা উঠে এসেছে। সেগুলি দেখা হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি সিসি ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু তা যে যথেষ্ট নয়, সেটা গত মঙ্গলবারের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy