Advertisement
E-Paper

Mukutmanipur Tourism: মুকুটমণিপুর খাঁ খাঁ, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর প্রথম ছুটির দিন কাটল হা হুতাশেই

কিন্তু নিষেধাজ্ঞার জেরে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। একের পর এক হোটেলের বুকিং বাতিল হয়েছে।

পর্যটকহীন মুকুটমণিপুর।

পর্যটকহীন মুকুটমণিপুর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৪
Share
Save

নিষেধাজ্ঞার জেরে রবিবার পর্যটক শূন্যই রইল মুকুটমণিপুর। অথচ গত রবিবারও পর্যটকদের ভিড়ে সেখানে পা ফেলার জায়গা ছিল না। ছুটির দিন হলেও অধিকাংশ হস্তশিল্পের দোকানের ঝাঁপ খোলেনি। বন্ধ ছিল ফেরি চলাচলও। বাতিল হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ হোটেলের আগাম বুকিংও।
প্রতি বছর ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের রবিবারগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে মুকুটমণিপুরে। কিন্তু গত দু’বছর করোনার প্রভাবে এক প্রকার বন্ধই ছিল পর্যটকদের আনাগোনা। চলতি মরসুমে পুজোর পর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে মুকুটমণিপুরের পর্যটন শিল্প। আগাম বুকিং শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেন হোটেল মালিকরা। ডিসেম্বরে ভাল ব্যবসা হওয়ায় আশাবাদী ছিলেন পর্যটনকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল হস্তশিল্পী এবং হস্তশিল্প ব্যবসায়ীরা। সেই ছবি দেখা গিয়েছে গত রবিবারেও। নৌকায় চড়তে ইচ্ছুক এমন পর্যটকদের ভিড়ে দম ফেলার ফুরসত পাননি মুকুটমণিপুরের জলাধারে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আড়াই’শো মাঝি।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞার জেরে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। একের পর এক হোটেলের বুকিং বাতিল হয়েছে। জলাধারের পাড়ে বন্ধ বনভোজনও। মুকুটমণিপুর নৌকাচালক সমবায়ের সম্পাদক তারাপদ সর্দার বলেন, ‘‘আমাদের ব্যবসা পুরোপুরি পর্যটন নির্ভর। এ বছর ভাল সংখ্যায় পর্যটক আসতে থাকায় আমরা ঋণ নিয়ে নৌকা মেরামত করে সাজিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের মাথায় বাজ পড়েছে। পর্যটনকেন্দ্র এ ভাবে বন্ধ থাকলে করোনা নয়, আমরা না খেতে পেয়ে মারা যাব।’’

নিষেধাজ্ঞার আগে মুকুটমণিপুরে ছিল পর্যটকদের ভিড়।

নিষেধাজ্ঞার আগে মুকুটমণিপুরে ছিল পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

মুকুটমণিপুরের সরকারি লজ লিজ নেওয়া উত্তম কুম্ভকার বলেন, ‘‘গত দু’বছর সে ভাবে পর্যটক না আসায় আমাদের ব্যবসা এমনিতেই লোকসানে চলছিল। এ বার ঢালাও পর্যটক আসতে শুরু করেছিলেন। গোটা জানুয়ারি মাস আমাদের লজ সম্পূর্ণ বুকড হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সমস্ত বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। সরকারি ভাবে লিজের অর্থ না কমালে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’’

রাস্তার ধারের খাবারের দোকানদার বাপি সাউ বললেন, ‘‘জানুয়ারি মাসের আজ দ্বিতীয় রবিবার। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেল। এখনও এক টাকার খাবার বিক্রি হয়নি। এই অবস্থায় আমাদের আর কত দিন চলতে হবে কে জানে!’’

Mukutmanipur tourism COVID19

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}