পাড়ুইয়ে ফিরহাদ হাকিম। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহখানেক আগেই বীরভূমে এসে মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে এসে বীরভূমের জেলবন্দি তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে রবিবার পাড়ুইয়ের হাটতলায় একটি জনসভা করেন ফিরহাদ। সেখানেই তিনি অনুব্রতর (কেষ্ট) সঙ্গে ফের বাঘের তুলনা টানেন। এ দিনের সভা থেকে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওরা ভেবেছিল বাঘকে খাঁচায় ঢুকিয়ে দিয়ে সব ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, এ বার সব শিয়ালেরা চারিদিকে হুক্কা হুয়া করবে! বীরভূমে আজ তুমি একটা বাঘকে আটকে রেখেছো, কিন্ত একাধিক বাঘ আজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কতগুলোকে তুমি জেলে আটকাবে!’’
নিজের সঙ্গে কেষ্টর তুলনা করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে আমাদের কখনও কখনও বিজেপি জেলখানায় পুরেছে। আমাকে অল্প দিনের জন্য ঢুকিয়েছে। কেষ্টকে অনেক দিনের জন্য ঢুকিয়েছে। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ হয়নি। সেই লড়াই আমরা কখনও ভুলব না।” তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিজে জেলে যেতে রাজি আছি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে গোটা ভারতবর্ষকে জেল তৈরি করবে। সেটা কখনও আমরা হতে দেব না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাস করি।’’
ফিরহাদের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘এত দিন নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলের সন্ত্রাস দেখেছি। এখন তাঁর অবর্তমানে তৃণমূল বিকল্প বাঘের তত্ত্ব দিয়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে।’’ বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এক বাঘ তিহাড় জেলে বন্দি আছেন। বাকি বাঘদের খাঁচায় ভরার জন্য তিহাড় ও প্রেসিডেন্সি জেলখানা তৈরি আছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এ দিন নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। রাজ্যের উপর ভীষণ রাগ ওঁর। কারণ উনি আগেরবার এসে বলেছিলেন দোশো পার। কিন্তু আপনারা করে দিয়েছিলেন পগার পার।’’ আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ফিরহাদ বলেন, ‘‘জব কার্ড ভুয়ো থাকলে তদন্ত করুক সিবিআই। কিন্তু সব মানুষকে তুমি সাজা দিতে পারো না। যদি কেউ ভুল করে তাহলে প্রকৃত ব্যক্তিদের সাজা দিন, তার মাশুল কেন সকলে গুনবে?’’ রামমন্দির প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওঁরা ভাবলেন রামমন্দির করে দেব, তাহলে ভোট হবে। এখন দেখছেন রাম মন্দিরে হচ্ছে না। এখন মানুষকে কী ভাবে বোকা বানানো যায় তার চেষ্টা করছেন।’’
এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ-সহ অনেকেই। সভা শেষে পাড়ুইয়ের খুষ্টিগিরি মাজারে চাদরও চড়ান মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy