শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব। —ফাইল ছবি
রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দোলের দিনই বসন্ত উৎসব হচ্ছে শান্তিনিকেতনে। যদিও বসন্ত উৎসবে ভিড় সামাল দিতে এবার আশ্রম মাঠের পরিবর্তে বসন্ত উৎসব নিয়ে যাওয়া হয়েছে পৌষ মেলার মাঠে। সেইমতো শনিবার রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, বোলপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এ দিন মাঠ পরিদর্শনে যান। বসন্ত উৎসব কত সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় তা নিয়েও এ দিন উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রশাসনের কর্তারা। এ দিনের আলোচনায় যাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে বসন্ত উৎসব দেখতে আসবেন তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং বসন্ত উৎসবে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা না হয় সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে বসন্ত উৎসব পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। বসন্ত উৎসবের সময় যাতে শহরের পথে কোনওরকম যানজট না হয় তার জন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা ওইদিন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হবে, অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ না করেও যাতে সাধারণ মানুষ বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানগুলি দেখতে পান তার জন্য বোলপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বেশ কয়েকটি জায়েন্ট স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা করা হবে, মেলার মাঠ জুড়ে ১৫০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কয়েক হাজার পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হবে। এছাড়া যান নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঠে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় একাধিক ড্রপ গেট ও পার্কিং জোন করা হবে। বসন্ত উৎসব প্রাঙ্গণে খোলা হবে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম, সেখান থেকেই পরিচালনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আগামী ২ মার্চ বসন্ত উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে। সে দিনের বৈঠক শেষে বসন্ত উৎসব নিয়ে সুস্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ দিন মেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বসন্ত উৎসব পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে বিশ্বভারতীকে। সাংস্কৃতিক দিকটা বিশ্বভারতী দেখছে। বোলপুরের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য সেটা যাতে নষ্ট না হয়ে তার জন্য রাজ্য সরকার পাশে আছে। বসন্ত উৎসবের যাবতীয় খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে। এখনও পর্যন্ত আমরা আনুমানিক ৮২ লক্ষ টাকা বাজেট ধরেছি। এর থেকে বাড়তেও পারে।’’ ২ তারিখ বৈঠক শেষে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলেও জানান প্রশাসনিক কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy