Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Minakshi Mukherjee

শালতোড়ায় শিল্প গড়ার দাবি মীনাক্ষীর

‘ইনসাফ যাত্রা’র মিছিল শুক্রবার রাতে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ার ছাতনার কমলপুর হয়ে শালতোড়ায় পৌঁছয়। এ দিন সকালে শালতোড়ায় সভার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।

বাঁকুড়া শহরে শনিবার ডিওয়াইএফ-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’।

বাঁকুড়া শহরে শনিবার ডিওয়াইএফ-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩০
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে জেলায় এসে শালতোড়ার পাথর ক্রাসার ফের চালুর জন্য দরকারি পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে ওই এলাকার ক্রাসার মালিকদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণে তোড়জোড় শুরু করে প্রশাসনও। তবে বিষয়টি সেখানেই থমকে রয়েছে। ‘ইনসাফ যাত্রা’ কর্মসূচিতে শনিবার শালতোড়ায় গিয়ে বন্ধ হয়ে পড়া পাথর শিল্প নিয়ে এ বার রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন, ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

এ দিন মীনাক্ষী বলেন, “শালতোড়ায় পাথর খাদানকে কেন্দ্র করে কোনও কলকারখানা তৈরি করা হয়নি। বেকার যুবকদের যে কাজের সুযোগ তৈরি করা দরকার ছিল, তা-ও হয়নি। আমরা চাই শালতোড়ার পাথর খাদান ও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে ছোট ছোট কলকারখানা তৈরি হোক।” তাঁর সংযোজন, “ডেউচা পাচামিতে পাথর তুলতে দিতে চান না সেখানকার মানুষ। অথচ শালতোড়ায় এতগুলি খাদান চলছিল। ক্রাসার চলছিল। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে দেড় লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা চলছিল। তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চুরি হলে তা বন্ধ করতে নীতি তৈরি করুন। আমরা চাই শালতোড়ার মানুষের কাজের জায়গা তৈরি করা হোক।”

‘ইনসাফ যাত্রা’র মিছিল শুক্রবার রাতে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ার ছাতনার কমলপুর হয়ে শালতোড়ায় পৌঁছয়। এ দিন সকালে শালতোড়ায় সভার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। শালতোড়া থেকে ইনসাফ যাত্রা যায় গঙ্গাজলঘাটি। সেখানে সভায় মীনাক্ষী বলেন, “আমরা মুখ দেখতে এগারোশো কিলোমিটার হাঁটিনি। যাঁরা আজ রেশনের চাল চুরি করেছে, তাঁদের সেই চুরি করা চালের ভাত খেতে বাধ্য করেছে। ...এই বড়জোড়া-গঙ্গাজলঘাটি-শালতোড়ায় নতুন করে কারখানা হবে, সাইরেন বাজবে। এখানকার ছেলেমেয়েরা এখানেই কাজ পাবেন। সকলে ব্রিগেডে আসুন সেই লক্ষ্যে।”

গঙ্গাজলঘাটি থেকে দুপুরে মিছিল যায় বাঁকুড়া শহরে। মিছিলে ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, দলের জেলা সম্পাদক অজিত পতি প্রমুখ। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বাঁকুড়ার মিছিলে এক হাজারের বেশি মানুষ হেঁটেছেন। যেখানেই সভা হয়েছে, যুবদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে বাঁকুড়া থেকে বেলিয়াতোড়, সোনামুখী হয়ে রাতে বিষ্ণুপুরে মিছিল পৌঁছয়।

তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “শুনেছি কয়েকটা বয়স্ক মানুষ লাইন দিয়ে হেঁটে গিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক মিছিল বলে মনেই হয়নি।” বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলও বলেন, “কেন্দ্রে বিজেপি সরকার রয়েছে বলেই রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি ধরা পড়ছে। মীনাক্ষীদেবীদের দলের নেতারা তো নবান্নে গিয়ে কাটলেট-ফিস ফ্রাই খেয়ে আসেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Minakshi Mukherjee CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy