আনাজের ছবিতে মিম। ছবি সমাজ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত
আনাজ বাজারে অগ্নিমূল্যের ছাপ ধরা পড়ছে সমাজ মাধ্যমেও। মিম থেকে শুরু করে নানা রসিকতা ঘুরছে নেট-পাড়ায়।নেটিজেনদের কেউ লিখছেন, আনাজ বাজারে গিয়ে দেখছেন, সেখানে ঋণদানকারী সংস্থার লোকজন বসে আছেন। কেউ আবার আনাজের ঝুড়িতে আগুনের ছবি বসিয়ে আগুন লেগেছে বলে মিম তৈরি করেছেন।
ভাল-মন্দ নানা ঘটনার প্রভাব সমাজ মাধ্যমে ঢেউ তুলে আসছে। ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ঘুরে তা চায়ের আড্ডায় লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ছে। ভোট মিটতেই এখন মধ্যবিত্তের প্রধান আলোচ্য বিষয় আনাজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। স্বভাবতই আনাজের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে মিমের মোড়কে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ছে সমাজ মাধ্যমে।
তাই সোনার আংটির উপরে রত্নের বদলে অগ্নিমূল্যের লাল টুকটুকে টোম্যাটো কিংবা পেঁয়াজের ছবি বসিয়ে পোস্ট করছেন কেউ কেউ। কয়েকজন আবার আনাজের ছবি দিয়ে ঋণ নিয়ে আনাজ কেনার সুবিধা সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যঙ্গ করছেন। এমনকি সে জন্য ইএমআই-এর সুযোগও রয়েছে বলে লিখছেন। সব মিলিয়ে আনাজের মূল্যবৃদ্ধিতে সরগরম নেট-পাড়া।
সমাজ মাধ্যমকে প্রতিবাদের পীঠস্থান করে ফেলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে বিরোধী সিপিএমের যুব কর্মীরা আনাজের দাম বৃদ্ধির জন্য একযোগে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে নানা পোস্ট করতে শুরু করেছে।
আদ্রার এক সিপিএম নেতা কমবেশি ১৫টি আনাজের বর্তমান বাজার মূল্য উল্লেখ করে মূল্য বৃদ্ধির জন্য কেন রাজ্য সরকার নিজের দায় স্বীকার করবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। সিপিএমের যুব কর্মীদের একাংশ আবার সন্দেশখালি কাণ্ড থেকে রাজ্যে সাম্প্রতিক তোলপাড়া করা নানা ঘটনার সঙ্গে আনাজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে সমাজ মাধ্যমকে। তাই আনাজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নেটিজেনদের সমাজ মাধ্যমে সরব হতে দেখে অস্বস্তিতে শাসকদল। তবে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আনাজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য অনাবৃষ্টি দায়ী। তা সবাই জানেন। তাই সমাজ মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতা বলেন, ‘‘আনাজের মূল্যবৃদ্ধিতে মুখ্যমন্ত্রী রাশ টানতে শুরু করেছেন। টাস্ক ফোর্স বাজারে ঘুরছে। ফলে রাজ্য সরকার যে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ শুরু করেছেন, মানুষ তা দেখতে পাচ্ছেন।’’
যদিও বিরোধীদের দাবি, টাস্ক ফোর্স গঠনের পরেও আনাজের দাম বিশেষ কমেনি। এ নিয়েও তাঁরা সমাজ মাধ্যমেই সরব হয়েছেন। (শেষ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy