স্মারকলিপি দিলেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে পৌষমেলার সিকিওরিটি মানি ফেরত পেলেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে, আড়াই বছর আটকে রাখা ওই সিকিওরিটি মানির জন্য সুদ জনিত কোনও অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। তা পেতে বুধবার শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতীর দ্বারস্থ হয়েছেন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতি এবং মেলায় দোকান দেওয়া ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে প্রথম সংঘাত শুরু হয়। পৌষমেলায় স্টল দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের থেকে নেওয়া সিকিওরিটি মানি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ফেরত না-দেওয়ায় একাধিক বার তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেছেন, কখনও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু, টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবি, চলতি ১৩ জুন ২০১৯ সালের পৌষমেলার জন্য জমা করা সিকিওরিটি মানির মূল অর্থ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফেরত দেন। কিন্তু, এত দিন বিশ্বভারতীর কাছে জমা থাকা ওই টাকার উপরে সুদ বাবদ কোনও বাড়তি অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি।
সেই টাকা অবিলম্বে ফেরতের দাবিতে এ দিন ব্যবসায়ী সমিতি ও কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির তরফে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের হাতে এবং বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মারফত পৌষমেলার নোডাল অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা বলেন, “পৌষমেলা শেষ হওয়ার পরে পরেই সিকিওরিটি মানি ফেরত দেওয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা দেওয়া হয়নি। প্রান্তিক ও গ্রামীণ শিল্পী-ব্যবসায়ীদের সিকিওরিটি মানি জমা রাখার জন্য ঋণ নিতে হয়েছিল। আড়াই বছরে সেই সব শিল্পীকে ওই ঋণ শোধ করতে হয়েছে। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই আমরা চাই অবিলম্বে সুদের টাকাও ফেরত দিক শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী।”
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিকিওরিটি মানি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কাছে গচ্ছিত হিসেবে রাখা ছিল। টাকা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্টল মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বভারতী এই গোটা চিত্রের বাইরে ছিল। তাই স্টল মালিকদের যা কিছু দাবি আছে, তা ট্রাস্টিদের সামনেই রাখতে হবে।’’ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। এই বিষয়ে আমরা ট্রাস্টিদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy