প্রিয়া সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র
বধূকে খুনের অভিযোগে শনিবার তেতে উঠল বিষ্ণুপুর শহরের বাসন্তীতলা। মৃত প্রিয়া সেনগুপ্তের (২১) স্বামী কালীপদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাশুড়ি বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পরে পড়শিদের একাংশ তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাসন্তীতলার কালীপদ সেনগুপ্তের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল ছাতনার লক্ষ্মীশোলের প্রিয়ার। ওই দম্পতির ১১ মাসের একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। কালীপদ একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তাঁর মা বিষ্ণুপুর পুরসভার কর্মী। পড়শিদের একাংশ দাবি করেছেন, প্রিয়াকে সন্তান-সহ বাড়িতে তালা দিয়ে আটকে কাজে বেরিয়ে যেতেন দু’জনে। সে কথা মেনে নিয়ে শনিবার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রিয়ার শাশুড়ি বলেন, ‘‘তাই নিরাপত্তার কথা ভেবেই সদর দরজায় তালা দিয়ে যেতাম।’’
তিন তলা একটি বাড়িতে থাকে ওই পরিবারটি। পড়শিদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিলেন প্রিয়ার শাশুড়ি। তাঁরই চিৎকারে লোকজন ছুটে যায়। ওই প্রৌঢ়ার দাবি, বেশ কিছুক্ষণ তিনি প্রিয়াকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। পরে দেখেন, এক তলার একটি ঘর ভিতর থেকে বন্ধ করা। কয়েক জন পড়শি দাবি করেছেন, জানালা দিয়ে প্রিয়াকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রিয়ার মা জ্যোৎস্না দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন চলত। ঠিক ভাবে খেতেও দেওয়া হত না। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার সকালে ফোন আসে। শুনি মেয়ে অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখি, মৃত্যু হয়েছে।’’ এ দিন সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
প্রিয়ার শাশুড়ি অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পরেই পড়শিদের একাংশ তাঁকে নিগ্রহ করে। মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। তবে বিষ্ণুপর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আজ, রবিবার কালীপদকে আদালতে তোলার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy