ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়ার সরকারি হোমে বহিরাগতেরা ঢুকে দিনের পর দিন কিশোরী আবাসিকদের উপরে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ভিডিয়ো-বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘সুপার-সহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। কেউ ধরা পড়েনি। কোনও প্রভাবশালী যুক্ত থাকায় পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগনের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘তদন্ত চলছে।’’ তবে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘ধামাচাপা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপিই এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে।’’
পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে শিমুলিয়ায় সরকারি হোম পরিদর্শনে যাওয়া বিচারকের কাছে কিছু আবাসিক কিশোরী অভিযোগ করে, সেখানে তাদের উপরে শারীরিক নির্যাতন হচ্ছে। বিচারকের থেকে সে কথা জেনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হোমে মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার বিজেপির মহিলা মোর্চা এ নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করতেই সংগঠনের জেলা সভানেত্রী কাবেরী চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। তারপরেই সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ও লকেট হোম-কাণ্ড নিয়ে কলকাতায় সরব হন।
এ দিন লকেট অভিযোগ করেন, ‘‘কিছু দিন আগে দু’জন অভিযোগকারিণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁরা অভিযোগ করে এ রকম নির্যাতন দিনের পর দিন চলে আসছে। সুপার জানেন না, এটা হতে পারে না। শুনেছি, ছ’-সাত বছর ধরে এ সব হচ্ছে।’’ পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হোমের দুই কিশোরীকে হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে কী ধরনের পরীক্ষা করা হয়েছে, দুই কিশোরী সেখানে কোনও অভিযোগ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।
ঘটনাচক্রে, হোমের সুপার সৌমিলি দাস ছুটিতে গিয়েছেন। তিনি ফোন ধরেননি, জবাব দেননি মেসেজের। প্রশাসনের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সৌমিলিদেবী আগেই ছুটি চেয়েছিলেন। তা মঞ্জুর করা হয়েছে। তাঁর বদলে আপাতত হোমের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক অদিতি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘আমি সবে দায়িত্ব নিয়েছি। এখনও এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।’’
লকেট জানান, ৩ জানুয়ারি তিনি পুরুলিয়ায় যাচ্ছেন। অভিযোগকারীরা যাদের নাম করেছে, তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হলেও এ নিয়ে কিছু বলছেন না। তার মানে আমরা কী ভাবব, এখানে তৃণমূল সরকারের কোনও যোগসাজস রয়েছে?’’
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘তদন্তে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, আমরাও তাঁর কঠোর শাস্তি চাইছি। এমন ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আসলে বিজেপি জল ঘোলা করে মাছ ধরার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy