এমনই বেহাল দশা সাঁইথিয়ার তালতলা মোড়ের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
মাস কয়েক আগেই সংস্কার করা হয়েছিল। ফের সেই পিচ সরে, পাথর উঠে রাস্তায় খন্দ তৈরি হয়েছে। দু’দিনের বৃষ্টিতেই সেই খন্দ রীতিমতো জলাশয়ের আকার ধারণ করেছে। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। এই ছবি সাঁইথিয়ার তালতলা মোড় সংলগ্ন এলাকার। রাস্তার এই অংশটি সারানো ও দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে পূর্ত দফতর ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি-বহরমপুরের সড়কের সাঁইথিয়ার তালতলা মোড় সংলগ্ন এলাকাটি সারা বছরই বেহাল হয়ে থাকে। অথচ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই এলাকাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ওই মোড়ের উপর দিয়েই সিউড়ি-বহরমপুর, সাঁইথিয়া-রামপুরহাট, সাঁইথিয়া-মল্লারপুর-সহ বিভিন্ন রুটের বাস এবং নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। অথচ উপযুক্ত সংস্কারের অভাবে সংলগ্ন রেলসেতুর নীচে থেকে তালতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল ছবি এলাকার পরিচিত দৃশ্য।
সারা বছরই স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায় সেই দুর্ভোগ চরমে ওঠে। ময়ূরেশ্বরের কুণ্ডলা গ্রামের সুব্রত মুখোপাধ্যায় শিক্ষকতা করেন সাঁইথিয়া হাই স্কুলে। বহড়ার সুনীল মণ্ডল সাঁইথিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দু’জনেই অধিকাংশ দিন মোটরবাইকে যাতায়াত করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘খন্দগুলি জলে কাদায় ভরে থাকে। সেগুলি পার হওয়ার সময়ে গাড়ি এসে পড়লে জল, কাদা গায়ে পড়ে।’’ অটোরিকশা চালক জীতেন ধীবর, গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই রোগী নিয়ে যাই। বেহাল রাস্তার কারণে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। হামেশাই যন্ত্রাংশও বিকল হয়ে যায়।’’
এ দিকে রাস্তাটি সংস্কারের দায়ভার নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। জেলা পূর্ত দফতরের (সিউড়ি বিভাগ) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পার্থ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি বর্তমানে ন্যাশনাল হাইওয়ে বিভাগের আওতাধীন। তাই সংস্কারের ব্যাপারটি তারাই বলতে পারবে।’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জেলা বিভাগের এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত গড়াই বলেন, ‘‘তালতলা এলাকার ওই রাস্তাটুকু সম্পূর্ণ আমাদের নয়। যেটুকু আমাদের আওতায় পড়ে তা সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে।’’
স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতী সাহা বলেন, ‘‘সত্যিই রাস্তার ওই অংশটির অবস্থা খুবই খারাপ। গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে দু’টি দফতরের সঙ্গেও কথা বলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy