সায়ন আহমেদ নিজস্ব চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিকের পর সাসপেন্ড করা হল এসডিপিও সায়ন আহমেদকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসার পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয় গেলেন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সেখানে গিয়ে গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। গ্রামের নিরাপত্তা বাড়াতে স্থানীয় পুলিশকে কড়া নির্দেশও দিলেন তিনি। ডিজি-র উপস্থিতিতেই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। বাড়ানো হল পুলিশি নিরাপত্তা।
আনারুল হোসেনের অপসারণের পর রামপুরহাট ১ নং ব্লকে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। নতুন সভাপতি হলেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি । সিরাজ দলের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য।
রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পরই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
তারাপীঠ থানায় আআনারুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বগটুই গ্রামে পৌঁছল বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। পাঁচ সদস্যের এই দলে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার ও ভারতী ঘোষ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হয় আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না হলে যে খান থেকে হোক গ্রেফতার করতে হবে।’’ তাঁর এই নির্দেশের ২ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠ মন্দিরের কাছে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা ।
বীরভূমের রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুর এলাকার বাসিন্দা আনারুল। এক সময় ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। সেই সময় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর থেকে আনারুল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন জোড়াফুল শিবিরে। রাজনীতির ময়দানে নেমে বীরভূমের মাটিতে দক্ষ সংগঠক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। সেই সূত্রেই ধীরে ধীরে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধানসভার বর্তমান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তেও চলে এসেছিলেন। একটু একটু করে দলে প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে আনারুলের। তাঁকে রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি করে দল। সাংগঠনিক দিক থেকে বগটুই গ্রাম ছিল আনারুলের আওতাতেই। বীরভূমের তৃণমূল শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, নিজের এলাকায় আনারুল হয়ে উঠেছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
বগটুই গ্রামে গিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হয় আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে যে খান থেকে হোক গ্রেফতার করতে হবে।’’ তাঁর এই নির্দেশের দু’ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠ মন্দিরের কাছে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা । বীরভূমের রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুর এলাকার বাসিন্দা আনারুল। এক সময় ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। সেই সময় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর থেকে আনারুল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন জোড়া ফুল শিবিরে। রাজনীতির ময়দানে নেমে বীরভূমের মাটিতে দক্ষ সংগঠক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। সেই সূত্রেই ধীরে ধীরে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধানসভার বর্তমান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তেও চলে এসেছিলেন। একটু একটু করে দলে প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে আনারুলের। তাঁকে রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি করে দল। সাংগঠনিক দিক থেকে বগটুই গ্রাম ছিল আনারুলের আওতাতেই। বীরভূমের তৃণমূল শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, নিজের এলাকায় আনারুল হয়ে উঠেছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল আনারুলকে।
তোলাবাজ তৃণমূলের মধ্যে আঁতাত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কি পুলিশ চালায়, তবে কেন তিনি পুলিশ যেতে বারণ করলেন। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
রামপুরহাট বগটুইয়ের পথে রওয়া দিয়েছে বিজেপি প্রতিনিধি দল। এর আগে তাদের সাঁইথিয়ার কাছে আটকে দেওয়া হয়। পরে বগটুইয়ের উদ্দেশে রওয়া দেয় বিজেপি প্রতিনিধি দল।
রামপুরহাটের বগটুইতে এলেন অধীর চৌধুরী। এর আগে শ্রীনিকেতনে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তিনি। পরে তিনি কংগ্রেসকর্মীদের নিয়ে বগটুইতে প্রবেশ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বগটুই নিয়ে বিভ্রন্তি তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ প্রদেশ সভাপতি মৃতদেহ গায়েব করারও অভিযোগ তোলেন।
Our LoP Adhir Ranjan Chowdhury wanted to meet the victims of Rampurhat violence, Birbhum but state police have confined him 90 km away in Bolpur: Congress MP Gaurav Gogoi in Lok Sabha pic.twitter.com/K9oQagqII2
— ANI (@ANI) March 24, 2022
রামপুুরহাট যাওয়াার আগে সাঁইথিয়ায় আটকে দেওয়া হল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। ওই দলে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যাওয়ার চেষ্টা করব। দেখি আর কোথায় আটকে দেয় ওরা।’’
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয়েছে রামপুরহাট-কাণ্ডের শুনানি। আদালতে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিসিটিভি ক্যামরা এখনও ইনস্টল করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এবং এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যাতে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে।’’
আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। তাতে নজরদারি করবে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিট এবং পুলিশ প্রভাবিত হতে পারে। তাই সিবিআইকে দেওয়া হোক এই তদন্তের ভার। ইতিমধ্যে ডিজি তদন্ত না করেই বলে দিয়েছেন ওই ঘটনা রাজনৈতিক নয়।’’
শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘‘কয়লা পাচার মামলায় জ্ঞানবন্ত সিংহকে নোটিস দিয়েছিল ইডি। তিনিও ওই পাচারে যুক্ত। আর তাঁকেই কী ভাবে সিটে রাখা হল? তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই কি পদক্ষেপ?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘‘বুধবারই বলেছিলাম, কেয়াম শেখ অন্যতম সাক্ষী। এই নাবালিকা ঘটনার অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করেছে। পুলিশ এখনও কোনও বয়ান রেকর্ড করেনি। এখন সে কোথায় রয়েছে তা-ও জানা নেই।’’
আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন অসুবিধা নেই। কিন্তু তিনি কী ভাবে ডিজিকে বলতে পারেন কী কী করতে হবে?’’
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে কেস ডায়রি জমা দেন। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার রাজ্যকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হয়েছিল। সন্ধ্যায় সেই নির্দেশের কপি হাই কোর্টের ওয়েবসাইটে আসে। তার পর তা জেলায় পাঠানো হয়। জেলা থেকে যোগাযোগ করা হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারককে। এখন সেখানে ৩১টি সিসিটিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সব রাজনৈতিক দলের সব নেতাকে গ্রামে যেতে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গেলেই অসুবিধা? বিজেপি প্রতিনিধি দল গেল। সিপিএমের সেলিম গেলেন।’’
মামলার রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাই কোর্ট।
বগটুই গ্রামে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো তাঁকে গ্রেফতারের উদ্দেশে রওনা দিল পুলিশ।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা পৌঁছলেন রামপুরহাট হাসপাতালে। সেখানে সুপারের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। কথা বললেন আহতদের সঙ্গেও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্ত তদন্তের পথে চলবে। আমি এর মধ্যে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করব না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যে পুলিশ অফিসার এর মধ্যে জড়িত, তাঁদেরও ছাড়া হবে না।’’
মমতার কথায়, ‘‘জীবনের বিকল্প চাকরি হয় না। নিজের কোটা থেকে আমি ১০ জনকে চাকরি দেব। শুধু এখানকার লোক ঘটনায় জড়িত, না বাইরের লোক এসেছে, তা দেখতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’’
মমতা বলেন, ‘‘এলাকায় সব সময় পুলিশ পিকেটিং থাকবে। যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছে, তাঁরা বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন, প্রয়োজনে আরও ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন। সঙ্গে আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। তিনটি বাচ্চাকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।’’
মমতা বললেন, ‘‘ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গেলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy