—প্রতীকী চিত্র।
বাজ পড়ে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া দুই জেলা মিলিয়ে মৃত্যু ছ’জনের। এর মধ্যে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া দুই জেলাতেই মৃতের সংখ্যা তিন। রবিবার দুপুরের পর ওই দুই জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। সেই সময়ই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ছ’জনের।
গত কয়েক দিন ধরে প্রবল ভ্যাপসা গরমের পর রবিবার দুপুরে ঘন কালো মেঘ করে বৃষ্টি শুরু হয় পুরুলিয়া। বৃষ্টির সময় পুরুলিয়ার পাড়া থানার শাকড়া গ্রামে মৃত্যু হয় দুই যুবকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই যুবকের নাম অঞ্জন দাস (১৮) ও সোমনাথ বৈষ্ণব (১৭)। মৃত দু’জনেরই বাড়ি শাকড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের পুকুরে স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ওই দুই যুবক রাস্তার ধারে একটি গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকাই বাজ পড়লে দু’জনেই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। পরে দু’জনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার সেনেড়া গ্রাম সংলগ্ন জমিতে চাষের কাজ করার সময় আচমকাই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লক্ষ্মীনারায়ণ বাউরী (৪৫) নামের আর এক জনের।
বাঁকুড়াতেও বজ্রপাতের ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে মারা যান বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পাতাবড় গ্রামের মীরা বাউরি (৬১)। গ্রাম সংলগ্ন মাঠে গরু চরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, ছাতনা থানার ছাচনপুর গ্রাম সংলগ্ন নদী ঘাটে মাছ ধরার সময় আচমকাই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় সাগেন মুর্মু (২০) নামের এক যুবকের। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানাতেও বজ্রপাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শুকুরমনি সোরেন (২৭)। মাঠে ধান রোপণের কাজ করার সময় শুকুরমনি-সহ চার জন বজ্রপাতে আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে শুকুরমনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy