নিরুপায়: স্ত্রী-ছেলেকে নিয়েই হেঁটেই বাড়ির পথে। বান্দোয়ানের চান্দড়া গ্রামের কাছে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
ও দিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ। দু’দিকেই নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গাড়ি এলেই আটকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। দেখতে চাওয়া হচ্ছে আরটিপিসিআর রিপোর্ট। তার মধ্যেই কেউ কেউ ব্যাগপত্র মাথায় চাপিয়ে হেঁটে হেঁটে সীমানায় এসে দাঁড়াচ্ছেন। এক বছর আগে পূর্ণ লকডাউনের স্মৃতি ফিরে এল রবিবার, পুরুলিয়া জেলার ঝাড়খণ্ড সীমানার বিভিন্ন নাকা পয়েন্টে।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে কড়াকড়ির মধ্যে ঝাড়খণ্ড সীমানাতেও নজরদারি শুরু করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। এই জেলাকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। এ দিন বিকেলে ঝাড়খণ্ডের কমলপুর থানার কাটিন থেকে স্ত্রী ও বছর চারেকের সন্তানকে নিয়ে বোরো থানার কুমারী গ্রামে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন এক যুবক। ট্রলি ব্যাগের উপরে ছেলেকে বসিয়ে কমবেশি ২৫ কিলোমিটার হাঁটলেন তাঁরা। রাস্তায় বান্দোয়ান থানার ধবনি সীমানায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের আটকান। জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক ওই যুবক বলেন, ‘‘আত্মীয়ের বিয়েতে কাটিনে গিয়েছিলাম। এ দিন দুপুরে সেখান থেকে বেরিয়ে অপেক্ষা করেও যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছি।’’ পুলিশ কর্মীরা অবশ্য তাঁদের আটকাননি। বাড়িতে ফিরে পরিবার-সহ কয়েক দিন নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিন যাত্রিবাহী গাড়ি কম এলেও ঝালদা ও বলরামপুর থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ছ’-সাতটি গাড়ির যাত্রীদের কাছে আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় তাঁদের ফেরত পাঠায়। সীমানার বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মীরা জানাচ্ছেন, ঝাড়খণ্ডে আগে থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। সে রাজ্যে ঢুকতে বা বেরোতে গেলে লাগছে ই-পাস। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে গেলেও সে রাজ্যের পুলিশও যাত্রীদের কাছ থেকে আরটিপিসিআর রিপোর্ট চাইছে। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবামূলক গাড়ি চলাচল অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সে সব গাড়ির চালকদের কাছে অবশ্য আরটিপিসিআর রিপোর্ট দেখা হচ্ছে না।
এ দিন সকাল থেকেই ঝালদা ও বলরামপুর থানা এলাকার সীমানায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছিল। পাড়া, নিতুড়িয়া, বান্দোয়ান থানায় তল্লাশি শুরু করতে খানিক দেরি হয়। সূত্রের খবর, সীমানায় শিবিরের পরিকাঠামো তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy