শান্তিনিকেতনের অবনপল্লিতে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ‘আবাস’ বাড়ি ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে অধ্যাপক ও কর্মীরা সরব হয়েছেন। সেই খবর সংবাদপত্রে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসলো জেলা প্রশাসন। বুধবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা বাড়িটি পরিদর্শন করেন। জমির মাপজোকও শুরু করেন। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে রিপোর্ট ভূমি দফতরের তরফে জেলা প্রশাসনকে দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
শান্তিনিকেতনের অবনপল্লিতে প্রায় এক-দেড় বিঘা জমির উপরে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। এই ‘আবাস’ বাড়িকে কেন্দ্র করে এলাকার নামকরণ হয়েছিল অবনপল্লি। অবনীন্দ্রনাথের বংশধরেরা জায়গাটি প্রোমোটারকে বিক্রি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তার পরেই ‘আবাস’ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। অবন ঠাকুরের স্মৃতি-ধন্য বাড়ি সংরক্ষণ না করে কেন ভাঙা হবে, সে প্রশ্নেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এ দিন দুপুরে দিকে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সব্যসাচী ঘটক বাড়িটি পরিদর্শন করেন। বাড়ি ও আশপাশের বিভিন্ন অংশ মাপজোকের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙার কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। ‘আবাস’ কাকে বিক্রি করা হয়েছে, জানতে চান। তবে, এ দিনও বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ হয়নি। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা বলেন, “আমরা জানি না এই বাড়ি কার। আমরা পেটের দায়ে কাজ করতে এসেছি।” ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি জানার পরেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তৈরি করে দ্রুত জেলায় পাঠানো হবে। বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকায় এই ধরনের বাড়ি যাতে আগামী দিনে এই ভাবে নিশ্চিহ্ন না হয়ে যায়, সেই বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)