প্রতীকী ছবি
করোনা-প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাঁকুড়া মেডিক্যালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। হাসপাতালের সুপার গৌতমনারায়ণ সরকার বলেন, “ওই মহিলার রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল।’’
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা সুকুরমণি বেশরা (৫৫) ছাতনার শুশুনিয়ার বাসিন্দা। ১৫ এপ্রিল তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। ‘ফিভার আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ন’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে, মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ১৬ জন ডেঙ্গি আক্রন্তের সন্ধান মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মৃতার শ্বশুরবাড়ি শুশুনিয়ায়। গত ১৯ মার্চ থেকে তিনি গঙ্গাজলঘাটির কেন্দথলিয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে, ১৫ এপ্রিল তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোড়ায় তাঁর হাতে-পায়ে ব্যথা ছিল। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার পরে জ্বর আসে। শনিবার বাঁকুড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) নিলয় চক্রবর্তী বধূর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, “কোথা থেকে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’’ মৃতার দাদা রবীন হাঁসদা বলেন, ‘‘কী ভাবে যে ডেঙ্গি হল, বুঝতে পারছি না।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫ জন। মৃত্যু হয় এক জনের। ২০১৯ সালে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে প্রায় দু’শোর কাছাকাছি দাঁড়ায়।
তবে গত বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ বার করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কায় তটস্থ হয়ে রয়েছে জেলা। তার মধ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবরে চিন্তা বেড়েছে জেলা স্বাস্থ্য-কর্তাদের।
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ শ্যামল সোরেন বলেন, “ডেঙ্গি রোখার কর্মসূচিগুলি জেলা জুড়ে চলছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy