কুড়মি সমাজের প্রতিবাদী রূপ। প্রতীকী চিত্র।
কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব সম্পর্কে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ওই মন্তব্যের জন্য তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে সারা জঙ্গলমহল জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ হবে বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো।
গত শনিবার মেদিনীপুরে তৃণমূলের সভায় বিধায়ক অজিত মাইতি কয়েকজন কুড়মি নেতাকে স্বঘোষিত উল্লেখ করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে সংগঠনের অভিযোগ। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি অবশ্য পিছু হটতে নারাজ। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।’’ তবে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সোমবার বরাবাজারের সিন্দরি গ্রামে ঢোল, ধামসা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল হয়। সেই মিছিল থেকে দুই বিধায়ক অজিত মাইতি ও শ্রীকান্ত মাহাতোর (ওই সভায় তিনিও উপস্থিত ছিলেন) নামে হায় হায় ও ধিক্কার স্লোগান ওঠে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠিও দিয়েছেন কুড়মিরা।
আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘এক জন বিধায়ক হয়ে অজিত মাইতি কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের প্রতি যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু তিনি কোনও দোষ করেননি। অজিত মাইতি যে মন্তব্য করেছেন, সে জন্য তিনি নিজে ক্ষমা না চাইলে মঙ্গলবার থেকেই আমাদের প্রতিবাদ শুরু হবে।’’ তিনি জানান, তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে তাঁরা যে অবস্থান আগে নিয়েছেন, অর্থাৎ তৃণমূলের বিরোধিতার জায়গা থেকেও তাঁরা সরছেন না।
বরাবাজারের সিন্দরিতে মিছিলের নেতৃত্বে থাকা রবীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব জাতিসত্ত্বার জন্য লড়াই করছি। কিন্তু অজিত মাইতি কুড়মিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা টেনে মন্তব্য করেছেন। আমরা কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করি।’’ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতোর দাবি, ‘‘আমাদের সামাজিক আন্দোলন চলছে শান্তিপূর্ণভাবেই। উস্কানিমূলক কথাবার্তা কাঙ্খিত নয়। এ বার অশান্তি হলে তার দায় তাঁকেই (অজিতকে) নিতে হবে।’’ বিধায়ক অজিতের পাল্টা দাবি, ‘‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।’’ অনুতপ্ত নন তাহলে? তাঁর জবাব, ‘‘আমি কেন অনুতপ্ত হব? মিথ্যাচার চলছে।’’ অজিত অনুগামী পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের এক নেতার আবার দাবি, ‘‘ওই মন্তব্যটা নিতান্তই ‘স্লিপ অব টাং’। পরে সেটাই অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy