Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Tapan Kandu Murder

Tapan Kandu: পারিবারিক বিবাদেই খুন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর, বলছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার

তপন খুনে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন ভাইপো দীপক কান্দু। শনিবার দীপকের বাবা নরেনকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে তপনকে।

পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে তপনকে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ২০:২৪
Share: Save:

রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। শনিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন স্পষ্ট ভাবে সেটাই জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত তপনের দাদা নরেন কান্দুকে। যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা। স্বামীর খুনের ঘটনায় ‘বড়সড় ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

তপন খুনে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তপনের ভাইপো দীপক কান্দুকে। শনিবার দীপকের বাবা নরেনকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ধৃতকে জেরার পরেই পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে তপনকে। এসপির দাবি, তপনের দাদা নরেন গত ৩-৪ বছর ধরেই ভাইকে খুন করার চেষ্টায় ছিলেন। রবিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন এসপি। তবে তাঁর আগে শনিবার তিনি বলেন, ‘‘খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে একটি বিষয় জানাতে চাই। এটা পারিবারিক ঝামেলার কারণে খুন। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই। খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।’’

পুলিশের এই দাবি যদিও মেনে নিতে নারাজ পূর্ণিমা। তাঁর কথায়, ‘‘দীপক আর ওঁর বাবা দু’জনেই তৃণমূল করে। এটা পারিবারিক নয়, রাজনৈতিক খুন। আমার স্বামীর খুনের ঘটনায় বড়সড় ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকেই জড়িত।’’ ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ তপনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করতেন, এমন অভিযোগও করেছেন পূর্ণিমা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন আইসি-র ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? আমি সিবিআই তদন্ত চাই। আর চাই দোষীদের ফাঁসি। এই খুনে আরও অনেক মাথা জড়িত।’’

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য জয়ী কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে মোটর বাইকে উঠে চম্পট দেয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে কাউন্সিলরকে রাঁচীতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক এ বার তৃণমূলের টিকিটে ওই ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হেরে যান। এই মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি কলেবর সিংহ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই খুনের ঘটনায় কলেবরই মূল অভিযুক্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

Tapan Kandu Murder purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE