হাতির হানা। দুমড়ে গিয়েছে বান্দুলহর স্কুলের দরজা। —নিজস্ব চিত্র।
বরাত জোরে হাতির হামলা থেকে রক্ষা পেলেন ঝালদা রেঞ্জের আধিকারিক বিশ্বজ্যোতি দে। বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ঝালদা রেঞ্জ অফিস খবর পায় ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির একটি বড় দল ঝালদা রেঞ্জের কলমা বিটের বান্দুলহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে চলে এসেছে। হাতি তাড়ানোর জন্য লোকজনকে খবর দিয়ে এক বনকর্মীর বাইকে চড়ে সেদিকে রওনা দেন বিশ্বজ্যোতি।
ওই বন আধিকারিক বলেন, ‘‘রাতে ঠিকমতো ঠাহর করতে পারিনি। পাকা রাস্তার গা ঘেঁষে স্কুলটি। কাছাকাছি যেতেই দল থেকে একটি হাতি আমাদের দিকে তেড়ে আসে। চিৎকার করে চালককে বাইকের গতি বাড়িয়ে সরে যেতে বলি। ভয়ঙ্কর মুহূর্ত, এখনও চোখের সামনে ভাসছে।“
বান্দুলহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সাহুর দাবি, স্কুলে মজুত চাল, ডাল সব খেয়ে সাবাড় করেছে হাতিরা। দরজা-জানালা ভেঙে সব লণ্ডভণ্ড করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুলের পাশাপাশি কাছের একটি দোকানেও হামলা চালিয়েছে হাতি। কয়েকটি দেওয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে গজরাজের দল। মাঠের ফসল তছনছ করেছে। স্থানীয় এক মুদিখানা দোকানের মালিক বিজয় মাহাতোর দাবি, দোকানের অনেক কিছুই নষ্ট করেছে হাতিরা।
পুরুলিয়ার ডিএফও কার্তিকায়েন এম বলেন, ‘‘দলটি যথেষ্ট বড়। দাঁতাল, শাবক সহ মোট ৩৫টি হাতি রয়েছে। ঝালদা ও কোটশিলা রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন। দলটিকে ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। শুরু করা হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব।’’
মঙ্গলবার দুপুরে খবর মেলে হাতির দলটি ঝালদার বড়গাঁতার কাছের জঙ্গলে রয়েছে। ঝালদা থেকে ওই এলাকাটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। পাকা পথ ধরে হাতির দলটি শহরের দিকে পা বাড়ালে কী অবস্থা হবে? তা ভেবেই দুশ্চিন্তায় বনকর্মীরা। তবে পুরুলিয়া বনবিভাগ জানিয়েছে, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, চলছে মাইকে প্রচারের কাজ। আপাতত সন্ধ্যার আগেই বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy