এই কাণ্ডে শুরু বিভাগীয় তদন্ত। —নিজস্ব চিত্র।
চুরির অভিযোগে ধৃতকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল বীরভূম জেলা পুলিশ। ওই কাণ্ডে রঞ্জিত মণ্ডল নামে এক সাব ইনস্পেক্টর এবং আব্দুল জব্বর নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বীরভূমের ইলামবাজারের শালডাঙা গ্রামেরএকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে বীরভূম জেলা পুলিশ। এর পরই পদক্ষেপ করার কথা জানিয়ে দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ইলামবাজার থানার শালডাঙ্গা গ্রামে নিজেদের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীর পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় লোহার তৈরি বিদ্যুতের খুঁটি কাটছিলেন কয়েক জন ব্যক্তি। কিন্তু তাঁদের আচার-আচরণে সন্দেহ হওয়ায়, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। এরপর তাঁদের অসংলগ্ন কথায় এক ব্যক্তি-সহ ছয় যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি কাগজপত্র নকল করে শালডাঙা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি কেটে চুরি করার। এর পর গ্রামবাসীরা গ্রামের একটি ক্লাবঘরে তাঁদের আটকে রাখেন। খবর দেওয়া হয় ইলামবাজার থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এর পর নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, এক সাব ইনস্পেক্টর এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার অভিযুক্তদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছেন। পুলিশকর্মীকে লাথি মারতে দেখা যায় ভিডিয়োয়। এ ছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা যায়, লাঠি দিয়ে মারধর করতে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা বিচার করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। রবিবার অভিযুক্তদের বোলপুর বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কিন্তু এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। আইনের রক্ষক কী ভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিল সেই প্রশ্ন ওঠে। এর পর ওই পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘‘মেটমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। বিষয়টির পূর্ণ বিবরণ বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়ের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy