প্রতীকী ছবি।
এক তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে শনিবার রাতে, খাতড়া থানার সুপুর মাঝপাড়ায়। এই ঘটনায় তৃণমূলেরই সাত কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম আশিস মণ্ডল। খাতড়া থানার শ্যামসু্ন্দরপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। ঘটনার খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিশ গিয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় আশিসকে উদ্ধার করে খাতড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রবিবার দুপুরে খাতড়া থানায় সুপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাত জনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত যুবকের ভাই দেবাশিস মণ্ডল। খাতড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। দেবাশিসের দাবি, ‘‘আমার দাদা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সুপুর দলীয় কার্যালয় থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় দলেরই কয়েক জন তার পথ আটকে লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং কিল-ঘুষি চালায়। পরে দাদার মুখে অভিযুক্তদের নাম জেনে সে সব উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
রানিবাঁধ কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে বাঁকুড়া থেকে ফেরার সময়ে স্থানীয়েরা আমাদের গাড়ি থামান। দেখি আমাদের দলীয় কর্মী আশিসের উপরে হামলা হয়েছে। অভিযুক্তেরা সবাই আমাদের দলের কর্মী। দলীয় সংগঠনকে দুর্বল করতেই তাঁরা আমাদের কর্মীর উপরে হামলা চালিয়েছে।’’
খাতড়ায় সম্প্রতি কিছু ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা নেতৃত্ব তা মেটানোর চেষ্টা করলেও সমস্যা যে রয়েই গিয়েছে, শনিবারের ঘটনায় তা ফের সামনে এসে পড়েছে বলে দাবি করছেন দলেরই নিচুতলার কর্মীদের একাংশ।
বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘খাতড়ায় দলের যে সমস্যা চলছে, তার উপরে সরাসরি রাজ্য নেতৃত্বের নজর রয়েছে। সমস্যা মেটানোর জন্য বৈঠকও হচ্ছে। শনিবার রাতের ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
এ দিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খাতড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দমোহন মাহাতো। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শুধু শনিবারের ঘটনাই নয়, গত প্রায় এক-দেড় মাস ধরে আমাদের আরও কয়েক জন কর্মী দুষ্কৃতকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, খাতড়া থানায় অভিযোগ জানালেও অজ্ঞাত কোনও কারণে পুলিশ তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।’’
খাতড়া থানার দাবি, ‘‘প্রতিটি ঘটনাই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ ঠিক নয়। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করে। শনিবার রাতে গোলমালের পরেই সেখানে পুলিশ টহল শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy