Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Oxygen Parlour

প্রবীণ নাগরিকদের উদ্যোগে গ্রামে অক্সিজেন পার্লার

মালিয়াড়া গ্রামের বান্ধব সম্মিলনী ক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়েছে ওই অক্সিজেন পার্লার।

বড়জোড়ার মালিয়াড়ায়।

বড়জোড়ার মালিয়াড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়জোড়া শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২১ ০৭:২০
Share: Save:

তাঁরা বয়সে প্রবীণ। কেউ অবসর নিয়েছেন চাকরি থেকে, কেউ বা ব্যবসা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। কিন্তু অবসর সময়েও সমাজের জন্য কিছু করার কথা ভেবে নিজেরাই এলাকায় শুরু করলেন অক্সিজেন পার্লার। করোনা-কালে তাঁদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বড়জোড়ার মালিয়াড়া গ্রামে শুরু হল অক্সিজেন পার্লার। উদ্বোধন করেন মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিকিৎসক কিসান মণ্ডল।

মালিয়াড়া গ্রামের বান্ধব সম্মিলনী ক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়েছে ওই অক্সিজেন পার্লার। রয়েছে দু’টি শয্যা ও দু’টি অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর যন্ত্র। এ কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ সুনীল খাঁ বলেন, ‘‘জেলার অন্য জায়গার মতোই মালিয়াড়াতেও করোনা সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেই যেতে হয় বড়জোড়া বা মেজিয়ার তাপবিদ্যুৎ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

তাই মনে হয়েছিল গ্রামেই যদি কিছু ব্যবস্থা করা যায়। এলাকার আমরা দশ জন প্রবীণ নাগরিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই অক্সিজেন পার্লার খোলা হবে। এখানে বিনামূল্যে অক্সিজেন পাবেন এলাকার মানুষজন।’’

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী অশোক পাল জানান, চাকরি থেকে অবসর নিলেও সমাজের জন্য এখনও কিছু করার সুযোগ রয়েছে মনে করেই তাঁদের এই আয়োজন। এ বিষয়ে তাঁদের সাহায্য করেছে বাঁকুড়ার একটি সংস্থা। আর এক প্রবীণ নাগরিক চণ্ডী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মালিয়াড়ার মতো একটি বড় গ্রাম এবং যেখান থেকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুব কাছে নয়, সেখানে অক্সিজেন থাকা খুব জরুরি। তাই এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা এই কাজ করেছি।’’ স্থানীয় বান্ধব সম্মিলনী ক্লাবের তরফে নিখিল খাঁ বলেন, ‘‘ক্লাব সামাজিক কাজের জন্যই। আমাদের সদস্যেরাই এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে থাকছেন। পিপিই কিটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’’ ক্লাবের আর এক সদস্য কলেজ ছাত্র রাজ খাঁ জানান, পালস অক্সিমিটারও রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে কেউ সেখানে গিয়ে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষাও করে যেতে পারেন। শুক্রবার পর্যন্ত কেউ অক্সিজেন না নিলেও ইতিমধ্যে কয়েকজন অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়েছেন। সুনীলবাবু বলেন, ‘‘ইচ্ছে রয়েছে, আরও কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার। তা হলে প্রয়োজনে আক্রান্তদের বাড়িতেও পাঠানোর ব্যবস্থা করা যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Senior citizen Oxygen Parlour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy